logo
youtube logotwitter logofacebook logo
/জাতীয়
জুলাই সনদে সই করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদরা - image

জুলাই সনদে সই করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদরা

17 অক্টোবর 2025, বিকাল 9:04

জুলাই জাতীয় সনদে সা্বাক্ষর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ সই করেন তারা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরাও সনদে সই করেছেন।বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসানসহ বিভিন্ন দলের নেতারা জুলাই সনদে সই করেছেন।জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম জুলাই সনদে সই করেনি।বিকাল ৪টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ সইয়ের অনুষ্ঠান। এতে যোগ দেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। /টিএ

অক্টোবর ১৭, ২০২৫

জুলাই সনদ স্বাক্ষর, রণক্ষেত্র মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ

জুলাই যোদ্ধা এবং পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া  ও সংঘাতের ঘটনায় রাজধানীর মানিক মিয়া এ্যাভিনিউ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানস্থলে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বেলা সোয়া একটার পর এ সংঘর্ষ শুরু হয়। বেলা পৌনে দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সংসদ ভবনের সামনের রাস্তায় একাধিক কটকেট বিস্ফোরণের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধারা একাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। রাস্তায় কয়েক স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে, যাদের বেশ কয়েক জনকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।  শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত,  মানিক মিয়া এ্যাভিনিউর সামনের রাস্তায় সংঘর্ষ চলছে। এর আগে, জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে দেওয়াল টপকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ এবং অতিথিদের জন্য বরাদ্দ করা চেয়ারগুলোতে বসে পড়া ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ ধাওয়া দিয়ে সংসদ ভবন এলাকা থেকে বের করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিক্ষুব্ধ জুলাই যোদ্ধারা সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেট ভেঙে ফেলেন। তারা বাইরে বের হয়ে বেশ কয়েকটি ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ভাঙচুর করা গাড়িগুলোর মধ্যে দুইটি পুলিশের গাড়ি রয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর করার সময় পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। পুলিশকে লাঠিচার্জ করতেও দেখা গেছে। গাড়ি ভাঙচুর করার সময় পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। পুলিশকে লাঠিচার্জ করতেও দেখা গেছে। পুলিশকে সেখানে অবস্থানকারীদের লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ কয়েকজন আহত হয়েছেন এ সময়। তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। পরে ‘জুলাই যোদ্ধারা’ বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ করে এবং কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে একদল ব্যক্তি আবার মঞ্চের দিকে ঢুকে যায়। এ সময় পুলিশ আবার তাদের সরিয়ে দেয়। বাইরে লাঠিসোঁটা হাতে একদল তরুণকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছিল। শুক্রবার সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের বেষ্টনী ভেঙে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয়েছিলেন শতাধিক ‘জুলাই যোদ্ধারা’।/টিএ

অক্টোবর ১৭, ২০২৫

বজ্রবৃষ্টি নিয়ে এবার যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অফিস

ধীরে ধীরে বিদায় নিয়েছে বর্ষা আর দেশজুড়ে দেখা মিলছে শরতের মৃদু স্নিগ্ধতা। তবে সেই সঙ্গে বইছে শুষ্ক হাওয়ার ছোঁয়া। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে, তবে দক্ষিণের কিছু অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে আপাতত তেমন কোনো বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী পাঁচ দিন পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা, আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু-একটি জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিধি সামান্য বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-একটি এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। তবে অন্যত্র মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে কিছু এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু-একটি জায়গায়ও বজ্রসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রা এ সময় সামান্য কমে যেতে পারে। রোববারও একই চিত্র দেখা যেতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলের আকাশে থাকবে মেঘের আনাগোনা, আর দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজ করবে শুষ্ক আবহাওয়া।আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্তমানে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপটি অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে, যার বর্ধিতাংশ বিস্তৃত রয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হতে পারে, তবে বড় কোনো নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। অর্থাৎ,অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়টা মূলত শুষ্ক ও মৃদু আবহাওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। দেশের বেশিরভাগ স্থানে দিন থাকবে রৌদ্রোজ্জ্বল। রাতগুলো থাকবে শুষ্ক। তবে দক্ষিণে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি এই হালকা ভেজা আমেজই হয়তো হয়ে উঠছে শীতের আগমনী সুর।

অক্টোবর ১৫, ২০২৫

ছিনতাইকারীর পিছু নিয়ে ফ্লাইওভারের গোপন সুড়ঙ্গে ঢুকলো একদল তরুণ অতঃপর…

এক অন্ধকার গা ছমছমে সুড়ঙ্গ। আর সেখানে এক ব্যক্তিকে আটকে ফেলেন চার-পাঁচজন সাহসী তরুণ। এরপর দেন পিটুনিও। আসলে সেই আটক হওয়া ব্যক্তি ছিলেন এক ছিনতাইকারী। আর সেই অপকর্ম হাতে নাতে ধরেন কয়েকজন তরুণ এরপর পিছু ধাওয়া করেন তার। এরপর ওই ব্যক্তি পালিয়ে আশ্রয় নেয় ফ্লাইওভারের ভেতরের এক অন্ধকার ও সরু সুড়ঙ্গে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি তার। সেখান থেকে তাকে ধরে ফেলেন চার-পাচজন সাহসী তরুণ।আর সেই ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে।জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়। ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত সড়কগুলোর একটি যাত্রাবাড়ী মোড়। আর সেখানে ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু ছিনতাই শেষে তারা যেন ভোজবাজীর মতোই হাওয়া হয়ে যেত। তাদের খুজে পাওয়া ছিল দুষ্কর। তবে কিছু মানুষ বিষয়টি ধরতে পারে যে তারা কোথায় গিয়ে গা ঢাকা দেয়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি পথচারীর মোবাইল ছিনিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছেন। ভুক্তভোগী সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে এগিয়ে আসেন স্থানীয় কয়েকজন তরুণ। মুহূর্তেই তারা বুঝে যান, যে সেই ছিনতাইকারী আসলে ফ্লাইওভারের নিচের এক অন্ধকার সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছে।সেই মোড়ের ফ্লাইওভারে গোপন সুরঙ্গে আস্তানা গেড়েছিল ভয়ঙ্কর ছিনতাইকারীদের একটি সঙ্গবদ্ধ দল যারা পথচারীদের থেকে ছিনতাই করে ওই আস্তানায় প্রবেশ করতো। আর অন্ধকার সেই সুরঙ্গে প্রাণের ভয়ে কেউ যেতে চাইতো না ফলে তাদেরকে আটক করা অনেকটাই দুঃসাধ্য ছিল। ফ্লাইওভারের ভেতরে থাকা ওই সুরঙ্গ পথটি খুবই সরু ও দীর্ঘ। বাইরের কোন আলো বাতাস সহজে সেখানে প্রবেশ করতে পারে না।তবুও পিছু হটেননি সেই সাহসী তরুণরা। মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বেলে প্রবেশ করেন সুরঙ্গের গভীরে। প্রায় সাত মিনিট হাঁটার পর হঠাৎই দেখা মেলে সেই ছিনতাইকারীর। এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রকৃত মালিককে, আর আটক ছিনতাইকারীকে সেখানে শাস্তি দেন সেই তরুণরা। /টিএ

অক্টোবর ১৫, ২০২৫

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, ঐকমত্য কমিশনের সনদেরই অংশ: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই। এটা ঐক্যমত্য কমিশনের সনদেরই অংশ। আগামী ১৭ অক্টোবর ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি আশা করেন, এটি উৎসবমুখরভাবে হবে এবং সারা জাতি এতে শরিক হবে। জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অতি জরুরি বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।  আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হবেই উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এটা এই যে ঐকমত্য কমিশনের যে সনদ, এটা সনদেরই অংশ এখন। এটার সঙ্গে এটা জড়িত। এই যে ঘোষণা আমরা করলাম এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এটা এমন না যে কথার কথা বলে ফেলেছি। এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে এবং ওই যে বারবার বলেছি, এটা উৎসবমুখর নির্বাচন হবে।বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা। রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন মিলে যে কার্যক্রম সম্ভব করেছে সেটি শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয় বরং পৃথিবীর রাজনৈতিক ব্যবস্থার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন। আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটা করে দেওয়া। তাহলেই আমাদের কাজ পরিণত হলো।অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই সনদ ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী অধ্যায়। যে সংস্কারের কথা আমরা মুখে বলে যাচ্ছিলাম, আপনারা সেই সংস্কার, প্রকৃতপক্ষে যে সংস্কার হবে তা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। কাজেই আমরা এই জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সারা জাতি বড় রকমের উৎসবের মধ্যে আমরা শরিক হবে।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে কলম দিয়ে স্বাক্ষর করা হবে সেগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। মানুষ তাদের ভুলতে পারবে না। এটা এমন একটা ঘটনা যে ঘটনার ভেতরে থেকে এর বিশালত্ব বোঝা যাচ্ছে না। মাসের পর মাস বৈঠক করে হতাশা এসেছে, মনে হয়েছে এটা হয়তো অসমাপ্ত থেকে যাবে। তবে এটা অসমাপ্ত থেকে যায়নি। জুলাই সনদ জাতির জন্য একটা মস্ত বড় সম্পদ হয়ে রইলো।তিনি আরও বলেন, যে দলিলগুলো তৈরি করা হয়েছে সেগুলো হারিয়ে যাবে না। এগুলো জনসাধারণের মধ্যে সহজ ভাষায় প্রচার করা হবে। যাতে করে সবার মনের মধ্যে থাকে কেন একমত হয়েছি। সরকার হিসেবে জুলাই সনদ ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তাদের। যে বিতর্কগুলো হয়েছে সেগুলোকে বিষয়ভিত্তিকভাবে ভিডিও করে ও বই করে রাখা হবে। যেন এগুলো সম্পদ হিসেবে থাকে, হারিয়ে না যায়। যাতে করে সবাই জানতে পারে কেমন জাতি গড়ার জন্য এগুলো করা হয়েছে।এ সময় সনদ ও নির্বাচন বিচ্ছিন্ন কোনো জিনিস নয় বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, উত্তরণটা কীভাবে হবে এটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেটার উত্তরও জুলাই সনদে দেওয়া আছে। এই উত্তর নিয়ে যেন সন্তোষভাবে উত্তরণটা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেভাবে রূপান্তরটি হবে। আমাদের পরিপূর্ণ প্রচেষ্টা হবে আপনারা যত কষ্ট করে এগুলো রচনা করছেন, সেটা যেন আমরা বাস্তবে রূপান্তর করতে পারি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবং আমাদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক মাধ্যমে যেন আমরা সেটাকে রূপান্তর করতে পারি। এই হলো আমাদের আশা। আগামী শুক্রবারে আমরা সেই আশাকে সারা জাতির সামনে নিয়ে আসবে।আগামী ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাবে এবং এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সবাই, সারা জাতি এটায় শরিক হবে। আপনারা তাদের সামনের সারির মানুষ যারা প্রকৃত সই করছেন। সারা দেশের মানুষ চিন্তার মধ্যে, তাদের ভাবনার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে সই করছে। জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।/টিএ

অক্টোবর ১৫, ২০২৫

বিইউবিটিতে শিক্ষক দিবস ২০২৫ উদযাপন

গত ১২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে শিক্ষক দিবস ২০২৫ উদযাপন করে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয় এক মননশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা সভা।অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রয়াণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটির সম্মানিত উপাচার্য প্রফেসর ড. এ বি এম শওকত আলী। তিনি তাঁর বক্তব্যে ছাত্রজীবনের শিক্ষকদের স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বলেন, "একজন শিক্ষকের প্রভাব কেবল পাঠদানে সীমাবদ্ধ নয়, বরং শিক্ষার্থীর চরিত্র, নৈতিকতা ও জীবনদর্শন গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা রাখেন।"আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক জনাব তৌহিদুল কবির।শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিইউবিটির আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক শান্তি নারায়ণ ঘোষকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবসায় ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ মাসুদ হোসেন অধ্যাপক ঘোষের একাডেমিক জীবন ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, "অধ্যাপক ঘোষ ভবিষ্যৎ শিক্ষকদের জন্য এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব এবং একাডেমিক সততা ও নিষ্ঠার উজ্জ্বল উদাহরণ।"বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ আবু সালেহ। তিনি তাঁর বক্তব্যে শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।সম্মাননা প্রাপ্ত অধ্যাপক শান্তি নারায়ণ ঘোষ তার বক্তব্যে শিক্ষকতা জীবনের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ ও জ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আত্মসমালোচনার এক অনন্য আবহে পরিপূর্ণ-যা শিক্ষার মহিমা ও শিক্ষকদের অবদানকে আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেয়।

অক্টোবর ১৩, ২০২৫

উপদেষ্টার পরিদর্শনের পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে ফিরেছে শৃঙ্খলা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় অংশে গতি ফিরেছে যানবাহনের। দীর্ঘদিন ধরে যেখানে যানজট ছিল স্বাভাবিক দৃশ্য, সেখানে এখন গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট নেই। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের পরিদর্শন ও যানজট নিরসনে দেওয়া নির্দেশনার পর রাতারাতি পাল্টে গেছে চিত্র। শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়কে বসানো হয়েছে বিভাজক। একইসঙ্গে চলছে সংস্কার কাজও। আর তা তদারকি করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত বিদ্যমান মহাসড়কটি চার লেনের জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করার প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের পর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। পাঁচ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। তবে শুরু থেকেই নানা সংকটের মুখে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি। এতে কাজ চলে ধীরগতিতে। ফলে পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ- যা শেষ হচ্ছে আগামী ২০২৭ সালের জুন মাসে। আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন প্রকল্পের ১২ কিলোমিটার অংশ রয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্ববরোড মোড় পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মাত্র ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আর্থিক জটিলতার কারণে এ অংশের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রাখে ঠিকাদার। ফলে সড়কে নিয়মিত সংস্কার কাজ না হওয়ায় খানাখন্দ তৈরি হয়। যান চলাচালে ধীরগতি দেখা দেয়। এতে প্রতিনিয়ত আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল-বিশ্বোরোড পর্যন্ত অংশে তীব্র যানজট তৈরি হতো। যানজটের কারণে ১২ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে যানবাহনগুলোর সময় লাগত ৪-৬ ঘণ্টা। কোনো কোনো সময় তা ৮-১০ ঘণ্টাও লেগে যেত। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তেন যাত্রীরা। এ অবস্থায় আশুগঞ্জ গোলচত্বর ও সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ের সংস্কার কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে ১২ সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়।গত ৮ অক্টোবর মহাসড়কের বেহাল অংশ পরিদর্শনে গিয়ে যানজটের কবলে পড়েন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। পরে গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে করে সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে যান তিনি। যানজটের জন্য বেহাল মহাসড়কের চেয়ে ট্রাফিকের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন এবং মনিটরিং কমিটির ১২ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন। এ নির্দেশনার পরই পাল্টাতে শুরু করে চিত্র।  সোমবার (১৩ অক্টোবর) পুরো দিনই  ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দেখা গেছে, সরাইল-বিশ্বরোড মোড় ও আশপাশে যানজট নেই। তবে যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে। এ অংশে স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়া আশুগঞ্জ গোলচত্বরেও যান চলাচল স্বাভাবিক।    পরিবহন চালকরা জানান, গত কয়েক মাস যানজটের কারণে অসহনীয় কষ্ট করতে হয়েছে। ১০-১২ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে সিলেট পৌঁছানো যায়নি। কিন্তু গত দুদিন ধরে আর আগের সেই যানজট সেই। এখন দ্রুতই বিশ্বরোড মোড় ও আশুগঞ্জ গোলচত্বর পার হওয়া যাচ্ছে। সড়ক বিভাগ এবং ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে রাস্তার কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। আপাতত যানজট নিরসন হলেও এর স্থায়ী সমাধান দরকার। এজন্য দ্রুত সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। অন্যথায় আবারও যে কোনো সময় যানজটের কবলে পড়তে হবে।  চার লেন মহাসড়ক প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তিনটি প্যাকেজে চলছে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। প্যাকেজ-১ এর কাজ ৬২ শতাংশ শেষ হয়েছে। আবারও নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আর প্যাকেজ-২ এর কাজ শেষ হয়েছে ৫৫ শতাংশ। বিভিন্ন জটিলতায় প্যাকেজ-৩ এর কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। সব মিলিয়ে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫০ শতাংশের কিছু বেশি।আশুগঞ্জ-বিশ্বরোড পর্যন্ত চারলেন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আওয়াল মোল্লা  বলেন, উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে মহাসড়কে যানজট এখন নেই বললেই চলে। বেহাল অংশের সংস্কার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজে ফিরতে শুরু করেছে।  

অক্টোবর ১৩, ২০২৫

ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন (ইমা’র) নতুন কমিটি ঘোষণা

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিক্রয় ও বিপণন কর্মকর্তাদের সংগঠন ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন, ইমার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহনা টেলিভিশনের সিইও এবং হেড অব মার্কেটিং তছলিম চৌধুরী। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জিটিভির হেড অব সেলস এন্ড মার্কেটিং ফেরদৌস নাঈম পরাগ।দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ইমার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধান কমিশনার সহিদুল ইসলাম এবং নির্বাচন কমিশনার মিনহাজ উদ্দিন ও ডক্টর আল আমিন আগামী দুবছরের জন্য ২১ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এতে সহ-সভাপতি পদে চ্যানেল আইয়ের জিয়াউল রহমান সুমন, স্টার নিউজের জহিরুল ইসলাম ও ইটিভির জাকারিয়া হোসেন জয়; যুগ্ম সম্পাদকের দুই পদে গ্লোবাল টিভির রফিকুল রহমান নিক্সন ও বিজয় টিভির মাহামুদুল হাসান, অর্থ সম্পাদক এটিএন বাংলার আবদুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক দুরন্ত টেলিভিশনের আশিকুর রহমান অভী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিটিভির দীন ইসলাম তপু, প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক এখন টিভির সরকার হানিফ রাফি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক চ্যানেল আইয়ের লিমা আক্তার শিমু, আইন সম্পাদক এটিএন নিউজের কারিন কামাল এবং দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল নাইনের সাইফুল আলম তপু। এছাড়া নির্বাহী সদস্যের সাতটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাছরাঙ্গা টিভির আবদুস সামাদ সোহাগ, একাত্তর টিভির সোহাগ হোসেন, দেশ টিভির আরিফুল ইসলাম রাজীব, এসএ টিভির শাকিলুর রহমান, এশিয়ান টিভির মাহমুদ জনি, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির এস এম জুবায়ের ও ডিবিসি নিউজের কে এম রাশেদুল। সবার সহযোগিতায় সংগঠনকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানান ইমার নব-নির্বাচিত সভাপতি তছলিম চৌধুরী। এমআর/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ১৩, ২০২৫

অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যে ৩ জন

উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিনজন। তারা হলেন- ইওয়েল মোকিয়র, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট।  সোমবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাদের নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। অ্যাকাডেমির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভাবননির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করার জন্য তাদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলো।প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্তগুলো চিহ্নিত করার জন্য। পুরস্কারের অর্ধেক পেলেন ইওয়েল মোকিয়র। সৃজনশীল বিনাশের (ক্রিয়েটিভ ডেসস্ট্রাকশন) মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব প্রণয়নের জন্য বাকি অর্ধেক যৌথভাবে পেলেন ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট।আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিকে ধারণ করে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগিরিতে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি দেয়া হয়।অর্থনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কারের নাম সেভেরিজেস রিক্সব্যাঙ্ক পুরস্কার। যার মূল্য ১ কোটি ১০ লক্ষ সুইডিশ ক্রোনা (১.২ মিলিয়ন ডলার)।উল্লেখ্য, এর আগে, গত সপ্তাহে চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, শান্তি এবং সাহিত্যের জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে। /টিএ

অক্টোবর ১৩, ২০২৫

প্রেমে মজেছেন আবু ত্বহা আদনান, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন স্ত্রী!

নতুন বিতর্ক নিয়ে আবারো আলোচনায় এসছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান । স্বামীর গোপন প্রেম নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারা। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ভক্ত অনুরাগীদের মধ্যে চলছে তুমুল আলোচনা। শনিবার (১১ অক্টোবর) স্ত্রী সাবিকুন নাহার সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একপোস্টে স্বামী আবু ত্বহা আদনানকে ঘিরে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া কমেন্টে তিনি লিখেছেন, তার শোধরানোর আশায় আগের পোস্ট ডিলিট করলেও তিনি শোধরাননি। এর আগে স্বামী আবু ত্বহা আদনানের বিরুদ্ধে পরকিয়ার অভিযোগ তুলে মূল পোস্টে সাবিকুন নাহার লিখেন, ‘এয়ার হোস্টেসদের মেবি সেলিব্রিটি পছন্দ, আর সেলিব্রিটিগণও মেবি এয়ার হোস্টেস ডিজার্ব করে। আপনাদের উস্তাদ আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান প্রেমে মজেছেন জারিন জেবিন নামক তার ১৫ বছর পূর্বের কলেজ লাইফের প্রিয়তমা বর্তমান এয়ার হোস্টেস এর। তখন উস্তাদ ডিসপারেটলি তাকে চেয়েছিলেন নাকি, তখন তার টাকা নেই বলে পরিবার দেয়নি। এখন আবার জারিন জাবিন নামক ভদ্র মহিলা ডিসপারেটলি আপনাদের উস্তাদকে চাচ্ছেন বলে অবিযোগ করেন সাবিকুন নাহার। পুরোনো প্রেম নতুন রূপে, একটু বেশিই ফিলিংসে ডুবেছেন উল্লেখ করে সাবিকুন নাহার লিখেন, আবু ত্বহা-জারিন নিয়মিত চ্যাট বক্সে ফিলিংস আদান-প্রদানসহ ঘন্টার পর ঘন্টা তার যিন্নুরাঈন সেন্টারে বসে বসে ফোনে কথা বলছেন। আবার সে তার সাথে লং ড্রাইভে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন, সেন্টারে এসে অফিস রুমে সাক্ষাৎ করেন। আসলে আপনাদের দেয়া টাকায় গড়া তার প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন আয়োজন ও ক্লাসের নামে যেকোনো নারীর সাথে একান্তে মিট করার কারখানা। নারী পুরুষ একসাথে ক্লাস নেয়া’, যোগ করেন তিনি। সাবিকুন নাহার সারা লিখেন, ‘যে কো-এডুকেশন শিক্ষার বিরোধিতা তার জবানে, অথচ তারই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী পুরুষ অবাধ মেলামেশার বিশাল আয়োজন। বিভিন্ন কোর্সের ক্লাসের নামে চলে মেয়েদের সাথে সরাসরি বসা আর আলোচনা করা, বেটার থেকে বেস্ট কাউকে খুঁজে নেয়া। সাবিকুন নাহারের অভিযোগ এগুলো থেকে ত্বহাকে বিরত রাখতে চেয়ে অস্থির হতেন বিধায় তাকে তার আশপাশের সকলের নিকট সবচেয়ে জঘন্য বানিয়েছেন, নিজেই চিৎকার করে স্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে, নানা তোহমত চাপিয়ে দেয়।’ তার বিছানায় বসে প্রেম করেন উল্লেখ করে আদনানের স্ত্রী লিখেছেন, সেন্টারে কাজ আছে বলে রাত ৩টায় বাসায় আসেন। এসে আবার জানান তিনি তার প্রেমিকার সাথে কথা বলেন। তিনি যা-ই করেন তা আবার গোপনের ধার ধারেন না, কারণ তিনিই সবচেয়ে বড়। এমন লিস্টের অভাব নেই উল্লেখ করে সাবিকুন নাহার লিখেছেন, ‘দেখা যাক ফাইনালি উস্তাদ কার হন।

অক্টোবর ১২, ২০২৫

বিয়ে করলেন ইশরাক হোসেন, পাত্রী কে?

ভক্তদের আগ্রহের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিয়ে করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। শুক্রবার পারিবারিকভাবে ব্যারিস্টার নুসরাত খানকে আংটি পরিয়েছেন তিনি। শনিবার (১১ অক্টোবর)  গণমাধ্যমকে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। জানা গেছে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য নুর মোহাম্মদ খানের বড় মেয়ে ব্যারিস্টার নুসরাত খানকে আংটি পরিয়েছেন ইশরাক। নুসরাত টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবরিয়া গ্রামের মেয়ে। সেই হিসেবে টাঙ্গাইল জেলার জামাই হচ্ছেন বিএনপির এই তরুণ নেতা। এদিকে ইশরাক হোসেনের মা ইসমত হোসেন বলেন, হঠাৎ করে পারিবারিকভাবে বাগদান সম্পন্ন হয়েছে তার ছেলের। তিনি হবু দম্পতির জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন । ইশরাক হোসেন ১৯৮৭ সালের ৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে রাজধানী ঢাকা শহরে। তার পিতা সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিক ও ঢাকার মেয়র। ইশরাক পিতার রাজনৈতিক আদর্শ অনুসরণ করে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন। বর্তমানে দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ইশরাক হোসেন তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও আধুনিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছেন। টিএ

অক্টোবর ১১, ২০২৫

উত্তর আমেরিকায় ড. ইস্রাফিল শাহীন: টরেন্টো থেকে নিউ ইয়র্কে থিয়েটারের আলোকময় সফর

বাংলাদেশের নাট্যজগতের এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রথিতযশা অধ্যাপক ড. ইস্রাফিল শাহীন, বর্তমানে এক বহুমাত্রিক সফরে উত্তর আমেরিকার মাটিতে অবস্থান করছেন। নাট্যতত্ত্ব, শিল্পকলা এবং সংস্কৃতির মূল সুর নিয়ে তাঁর এই সফর কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাট্যপ্রেমী ও চিন্তাবিদ মহলে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক উষ্ণ পরিবেশ, যা তাঁর গভীর দর্শনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধারই বহিঃপ্রকাশ।​অধ্যাপক শাহীনকে তাঁর ছাত্র ও অনুসারীরা কেবল একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে দেখেন না; তিনি 'জীবন্ত প্রতিষ্ঠান' হিসেবে সমাদৃত, যিনি মানবতা, শিল্পকলা এবং সংস্কৃতির মৌলিক সারবস্তুকে এক দার্শনিক ছাতার নিচে এনেছেন। তাঁর মূল শিক্ষা হলো—অভিনয় কেবল মঞ্চের প্রদর্শন নয়, এটি জীবনের সত্যকে শৈল্পিক উপস্থাপনায় রূপান্তরিত করার শিল্প। তিনি প্রায়শই স্মরণ করিয়ে দেন, তাঁর দর্শনের মূল কথাটি- “থিয়েটার হলো মানবাত্মাকে বোঝার এক নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা।”​ড. ইস্রাফিল শাহীনের এই গুরুত্বপূর্ণ সফরের সূচনা হয় ৫ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে কানাডার টরেন্টো-তে একটি সফল নাট্য বিষয়ক কর্মশালা পরিচালনার মাধ্যমে। এই কর্মশালায় তিনি মূলত 'অভিনেতার দেহভাষা এবং সত্যের পথে যাত্রা'—এই বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করেন। প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাঙালি নাট্যকর্মীরা কীভাবে বাংলা নাটকের ঐতিহ্যের শিকড় ধরে রেখেও বিশ্ব নাটকের আধুনিক কৌশলগুলির সাথে নিজেদের যুক্ত করতে পারে, সেই বিষয়ে তিনি মূল্যবান দিকনির্দেশনা দেন।​টরেন্টোর সাফল্য শেষে তিনি নিউ ইয়র্কে এসে ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের সংস্কৃতি কর্মীদের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ‘সংস্কৃতির চর্চা ও বাংলা নাটক’ শিরোনামের এই বক্তৃতায় তিনি প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতি ও নাটকের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নাটকের ভূমিকা তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্য শুনতে নিউ ইয়র্কের শিক্ষাবিদ, শিল্পী, এবং প্রবাসী বাঙালি, কমিউনিটি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।​অধ্যাপক শাহীনের এই সফরের চূড়ান্ত আকর্ষণ হিসেবে অপেক্ষায় রয়েছে আগামী ১২ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য "শিল্পাঙ্গন নাট্যলাপ"। এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে তাঁর যোগদান, পুরো সফরের অভিজ্ঞতার নির্যাস এবং তাঁর নাট্যদর্শনকে আরও গভীরভাবে তুলে ধরার সুযোগ এনে দেবে।​দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর এই উপস্থিতি নিঃসন্দেহে বিশ্বজুড়ে নাট্যচর্চাকারীদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণা। আমাদের প্রত্যাশা, ড. ইস্রাফিল শাহীন স্যারের এই মহৎ উদ্দেশ্য ও দৃষ্টি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও আলোকিত করে যাবে।

অক্টোবর ১১, ২০২৫
footer small logo

যোগাযোগ :

এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ফোনঃ +88-02-55011931

সোশ্যাল মিডিয়া

youtube logotwitter logofacebook logo

আমাদের কথা

আপনার অভিজ্ঞতা

আমাদের লক্ষ্য

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

Design & Developed by:

developed-company-logo