logo
youtube logotwitter logofacebook logo
/আন্তর্জাতিক
মাঝরাস্তায় চলন্ত বাসে হঠাৎ ভয়াবহ আগুন, ভিডিও ভাইরাল - image

মাঝরাস্তায় চলন্ত বাসে হঠাৎ ভয়াবহ আগুন, ভিডিও ভাইরাল

15 অক্টোবর 2025, বিকাল 9:52

সময় তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। কাঠফাটা রোদে গরমের মধ্যেও মহাসড়কে আপন গতিতে গন্তব্যে ছুটে চলছিল একটি ঝা চকচকে নতুন যাত্রীবাহী বাস। কিন্তু হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলন্ত অবস্থায় পুরো বাসটিতে আগুন ধরে যায় দাউ দাউ করে আর মুহূর্তের মধ্যে সে আনন্দ যাত্রা পরিণত হয় এক মৃত্যুর মিছিলে। তাতে পুড়ে ছাই হলেন অন্তত ২০ জন যাত্রী। আর এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়সালমীর জেলায়।স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে ৫৭ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি জয়সালমীর থেকে যোধপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে কিছুক্ষণ পরেই হাইওয়ের মাঝপথে হঠাৎ বাসের পেছন দিক থেকে ধোঁয়া উঠতে শুরু করে। চালক দ্রুত রাস্তার পাশে বাস থামান, কিন্তু ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সামনের অংশ পর্যন্ত। আতঙ্কে যাত্রীরা চিৎকার করতে করতে নামার চেষ্টা করেন, কিন্তু অনেকেই আর নামতে পারেননি। স্থানীয়রা ছুটে এসে ভাঙা জানালা দিয়ে কিছু যাত্রীকে টেনে বের করলেও মুহূর্তেই বাসটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আর তাতে আটকে পড়ে চোখের পলকেই যেন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে গেল একের পর এক প্রাণ। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রায় আধাঘণ্টা পর। ততক্ষণে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পরে ১৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে। এরপর দ্রুত চিকিৎসার জন্য আটটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের যোধপুরে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, বাসটির বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তবে অবাক করা বিষয় হলো এই বাসটি মাত্র পাঁচ দিন আগেই কেনা হয়েছিল! এদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা গভীর রাতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্সে শোক জানিয়ে মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।তবে রাজস্থানের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলেছে, ভারতের সড়ক নিরাপত্তা আর যানবাহনের মান কতটা নিরাপদ? তার উত্তর খুঁজছে পুরো দেশ। /টিএ

অক্টোবর ১৫, ২০২৫

আফগানিস্তানে রকেট হামলা করলো পাকিস্তান

আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আফগান ও পাকিস্তান সীমান্ত। অস্ত্রবিরতি ভেঙে এবার আফগানিস্তানে ভয়াবহ রকেট হামলা চালিয়েছে ইসলামাবাদ। মঙ্গলবার ভোরে দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছে দেশটির রাজধানী কাবুল। স্থানীয় সময় ভোর চারটার দিকে একের পর এক রকেট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে সীমান্তবর্তী ওই এলাকা।বুধবার (১৫ অক্টোবর)  আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের অভিযোগ, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাকিস্তানি বাহিনী সরাসরি রকেট নিক্ষেপ করে। এসব হামলায় বেসামরিক এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।রকেট হামলার পাশাপাশি একইদিন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলার সীমান্ত এলাকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলিবিনিময়ের ঘটনাও ঘটে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, আফগান বাহিনী প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু করলে জবাবে পাল্টা গুলি চালায় পাকিস্তান। এতে আফগান বাহিনীর সামরিক পোস্টে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইসলামাবাদ।তবে আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলার বিষয়টি স্বীকার করলেও, তারা জানিয়েছে যে পাকিস্তানি সেনারা প্রথমে সীমান্ত লঙ্ঘন করে তাদের অবস্থানে রকেট হামলা চালায়। এক বিবৃতিতে আফগান পক্ষ জানিয়েছে, নিজেদের প্রতিরক্ষায়ই তারা জবাব দিয়েছে এবং পাকিস্তানের কয়েকটি পোস্ট ধ্বংস করেছে।এর আগে, চলতি মাসের ১১ তারিখে আফগান বাহিনী পাকিস্তানের বাজাউর, কুররাম, দির, চিত্রাল ও আঙ্গুর আড্ডাসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় হামলা চালায়। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) দাবি করেছে, ওই সংঘর্ষে আফগানিস্তানের ২০০ জনের বেশি সেনা এবং পাকিস্তানের অন্তত ২৩ জন সেনা নিহত হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে নতুন করে দুই দেশের রকেট হামলায় উত্তজনা আরো চরমে পৌছেছে। তাই পরিস্থিতি পাল্টে যেকোনো সময় ভয়াবহ যুদ্ধে জড়াতে পারে কাবুল ও ইসলামাবাদ। /টিএ

অক্টোবর ১৫, ২০২৫

গাজা চুক্তির ‘দ্বিতীয় পর্যায়’ শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  প্রথম পর্যায়ে ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বলেছেন, ২০ জন জিম্মি ফিরে এসেছেন, আশা অনুযায়ী তারা ভালো বোধ করছেন। বড় বোঝা উঠে গেলেও কাজ এখনও শেষ হয়নি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনো সব মরদেহ ফেরত দেয়া হয়নি।  দ্বিতীয় পর্যায় এখনই শুরু হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ইসরায়েল ও মিশরের সফর থেকে ফিরে আসার কয়েক ঘন্টা পরেই  ট্রাম্প এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন।  তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় গাজা চুক্তির প্রথম পর্যায় অনুযায়ী হামাস এবং ইসরায়েল জিম্মি-বন্দি বিনিময় পরিচালনা করে।যার ফলে ইসরায়েলের কুখ্যাত ওফের সামরিক কারাগার এবং নেগেভ মরুভূমির অন্যান্য কারাগার থেকে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়। জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে আগেই মুক্তি দেয়া হয়। এদিকে, হামাসের কথা অনুযায়ী তারা মঙ্গলবার আরও চারজন মৃত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ স্থানান্তর করেছে।এর আগে ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সোমবার মিশরের রিসোর্ট শহর শার্ম আল-শেখে উচ্চ পর্যায়ের শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেন।  যেখানে ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন দেন উপস্থিত বিশ্ব নেতারা। /টিএ 

অক্টোবর ১৫, ২০২৫

ট্রাম্পের প্রস্তাব উড়িয়ে দিলো ইরান

গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়ায় ইরানও অংশ নেবে। ট্রাম্পের দাবি, যে দেশগুলো আগে একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, তারা এখন সংলাপে বসছে।ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দেন, ইসরাইল ও ইরানের দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে শান্তির  আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে তাঁর এই আশাবাদী বক্তব্যকে “অবাস্তব” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। শনিবার (১১ অক্টোবর) তিনি জানান, ইরান কখনও এমন একটি দখলদার রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে না, যারা শিশু হত্যা ও গণহত্যার মতো অপরাধে লিপ্ত।আব্বাস আরাঘচি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলের অবস্থান নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পেছনে গোপন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। অন্যদিকে, ইউরোপের তিনটি দেশ—যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন করে পরমাণু চুক্তি আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানায়, ইউরোপ এমন একটি স্থায়ী ও যাচাইযোগ্য সমঝোতা চায় যা নিশ্চিত করবে ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না।তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। স্থানীয় এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ন্যায়সঙ্গত চুক্তির প্রস্তাব দেয়, তবে ইরান আলোচনায় আগ্রহী হবে। তিনি আরও জানান, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা ইরানের জনগণের অধিকার, এবং তা কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাঁর দাবি, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের অধিকারকে সম্মান করতে হবে।এদিকে, ইরানের জ্বালানি রপ্তানি নেটওয়ার্ক দুর্বল করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পেট্রোলিয়াম ও তরলীকৃত গ্যাস রপ্তানিতে সহায়তার অভিযোগে ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তেহরানের ক্ষতিকর কার্যকলাপের জন্য ব্যবহৃত তহবিল বন্ধ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন শান্তির আভাস মিলছে, অন্যদিকে উত্তেজনার নতুন আবহও তৈরি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫

নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো উত্তর কোরিয়া

পামানবিক শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়া। এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘুম হারাম করে, প্রকাশ্যে উন্মোচন করল নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘হোয়াসং-২০’ । বলা হচ্ছে এই ক্ষেপনাস্ত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড পর্যন্তও আঘাত হানতে সক্ষম । শুক্রবার জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে। এই প্রযুক্তি উত্তর কোরিয়াকে একটি কৌশলগত সুবিধা এনে দিবে, কারণ কঠিন জ্বালানিভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অনেক দ্রুত প্রস্তুত করে উৎক্ষেপণ করা যায়। যার ফলে শত্রুপক্ষের যেকোনো ঘাটিঁ নিমিষেই ধ্বংস করা সম্ভব। এছাড়া ক্ষেপনাস্ত্র হোয়াসং-২০ সহজে স্থানান্তরযোগ্য, অর্থাৎ এটি মোবাইল লঞ্চার থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। ফলে স্যাটেলাইট বা গোয়েন্দা প্রযুক্তি দিয়ে এর অবস্থান শনাক্ত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। এতে করে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক স্ট্রাইক ক্যাপাবিলিটি আগের চেয়ে অনেক বেশি অনিশ্চয়তা এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষদের জন্য। এদিন সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। তিনি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে সামরিক শক্তি ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।” যদিও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি, তবুও তার বক্তব্যের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট—বিদেশি হুমকি এবং আধিপত্যের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়া সর্বদা প্রস্তুত। বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া শুধুমাত্র নিজেদের শক্তি জানান দিচ্ছে না, বরং সম্ভাব্য কূটনৈতিক আলোচনায় চাপ তৈরির কৌশল হিসেবেও এটি ব্যবহার করছে দেশটি । টিএ

অক্টোবর ১১, ২০২৫

ভারতে ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধস, নিহত বেড়ে ২৮

রাতভর ভারী বৃষ্টির পর সকালটা শুরু হয়েছে কান্না আর হাহাকারে। পাহাড়ধসে পড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে ঘরবাড়ি, সড়ক, এমনকি মানুষের স্বপ্নও। সেখানে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৮ জন, আহত শতাধিক, এবং আটকা পড়েছেন শত শত পর্যটক। পাহাড়ি সৌন্দর্যের শহরটি যেন রাতারাতি পরিণত হয়েছে মৃত্যুভূমিতে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, যে শহর একসময় পরিচিত ছিল চা-বাগান আর মেঘ ছোঁয়া পাহাড়ের জন্য, আজ সেটিই পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে। রোববার বিকেল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে মাত্র ১২ ঘণ্টায় ২৬১ মিলিমিটার বর্ষণ রেকর্ড করে আবহাওয়া দপ্তর, যা ছিল গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গভীর রাতে মিরিক, সুখিয়াপোখরি, সৌরেনি, দুধিয়া, ও নাগ্রাকোটা অঞ্চলে পাহাড়ধস শুরু হয়। মুহূর্তেই ধসে পড়ে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। বিশেষ করে মিরিক ও সুখিয়াপোখরিতে এর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ। দুধিয়া নদীর তীরে থাকা বিএসএফ ক্যাম্প পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়েছে একাধিক সেতু, ফলে শিলিগুড়ি ও কালিম্পংয়ের সঙ্গে দার্জিলিংয়ের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মিরিকের পথে যাওয়া সব রাস্তা বন্ধ। যদিও পুলিশ ও প্রশাসন উদ্ধার কাজে নেমেছে, কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাধা পাচ্ছে বারবার। প্রতি বছর দুর্গাপুজার এই সময়টায় দার্জিলিং ভরে ওঠে পর্যটকের কোলাহলে। এবারও তাই হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই পর্যটকরাই আটকা পড়েছেন বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও পাহাড়ি আশ্রয়ে। বিদ্যুৎ ও খাবারের সংকটে এখন দিন কাটাচ্ছেন তারা। এদিকে এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণকে আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনকি উদ্ধার ও পুনর্বাসনে একযোগে সবাই কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।     এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

ফ্লোটিলা নিয়ে ব্যস্ত ইসরায়েলকে ফাঁকি দিয়ে জাল ভরে মাছ ধরল গাজাবাসী

শাপে বর প্রবাদটি যেন এবার গাজাবাসীর জন্যই প্রযোজ্য। কারণ, তাদের অনাহারে রাখতে ত্রাণ ঢুকতে বাধা দিতে ফ্লোটিলাকে ঠেকাতে উঠেপড়ে লেগেছিল ইসরাইলি বাহিনী। আর ঠিক সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গভীর সমুদ্রে জাল ফেলেছিলেন ফিলিস্তিনি জেলেরা। এমনকি সৌভাগ্যক্রমে তাদের জালে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছও। আর তাতে যেন উল্লাসে ফেটে পড়েছে ক্ষুধার্ত গাজাবাসী। এই দুর্লভ মুহূর্তের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ইসরাইলের লাগাতার আগ্রাসনে গাজা এখন যুদ্ধ, ক্ষুধা আর অবরোধের এমন এক শহর যেখানে আনন্দের মুহূর্ত যেন এখন বিলুপ্ত স্মৃতি। কিন্তু সেই গাজাতেই হঠাৎ যেন প্রাণ ফিরে এলো। যখন ইসরায়েলি নৌবাহিনী মানবিক ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকাতে ব্যস্ত ছিল, তখন সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ফিলিস্তিনি জেলেরা ছুটে গেলেন গভীর সমুদ্রে। সেই সময়েই জেলেরা প্রথমবারের মতো গুলি বা আটক হওয়ার ভয় ছাড়াই গভীর পানিতে জাল ফেলতে সক্ষম হন তারা। আর আশ্চর্যজনকভাবে, তাদের জালে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ। গত বুধবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী ৪০টিরও বেশি দেশের ৪৫০ জনেরও বেশি ত্রাণকর্মীকে বহনকারী 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা' নামের নৌবহরটি আটক করে। ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে গাজায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল এই দলটি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ডজন জেলে সমুদ্রসৈকতে জাল টেনে তুলছেন এবং উপস্থিত জনতা উল্লাস করছে। ক্ষুধার্ত ও অবরুদ্ধ জীবনে এটি ছিল এক বিরল আনন্দের মুহূর্ত। অনলাইনে ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তবে অনেকে এটিকে সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ বললেও, অনেকেই গাজাবাসীর স্বাধীনভাবে মাছ ধরার অধিকার না থাকার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গাজার কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধের কারণে এই অঞ্চলের মৎস্য খাত ধ্বংস হয়ে গেছে। আর প্রায় ৪ হাজার জেলে কাজ হারিয়েছেন যা গাজার ভয়াবহ খাদ্য সংকটকে আরও তীব্র করেছে। আর সেই চলমান ক্ষুধা ও অস্থিরতার মাঝেও এমন সুযোগ যেন বারবার আসে ভিডিওটি দেখে এমন প্রত্যাশাই করেছেন নেটিজেনরা।     এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৬, ২০২৫

বিমানের চাকায় চড়ে বিদেশে চলে গেল কিশোর, অতঃপর যা ঘটল

বিমান ভ্রমণ মানেই আরাম আয়েশ। আর এমনটা যারা ভাবেন তাদের ধারণাকে রীতিমত মিথ্যে করে দিয়েছে এক কিশোর। হঠাৎ না বুঝে কৌতুহল বশত বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে উঠে বসে কিশোরটি। আর তাতে যা ঘটল তাতে রীতিমত চোখ কপালে উঠবে যে কারোরই। এবার রীতিমত এক চ্যালেঞ্জিং বিমান ভ্রমণ করল সেই কিশোর। ল্যান্ডিং গিয়ারের ভেতরে লুকিয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে গেল এক কিশোর। তাও আবার আধা ঘন্টা কিংবা এক ঘন্টা নয়। টানা দুই ঘন্টা গিয়ারে লুকিয়ে আকাশে উঠতে থাকে ওই কিশোর। জানা গেছে, আফগানিস্তানের কাবুল থেকে উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারের ভেতরে ঢুকে ভারতে পৌঁছায় কিশোর। আফগানিস্তানের কাবুল থেকে দিল্লি—দুই দেশের মাঝে আকাশচুম্বী ঝুঁকি, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর প্রাণঘাতী চাপ সত্ত্বেও বেঁচে ফিরল মাত্র ১৩ বছরের এক কিশোর। সোমবার সকালে কেএএম এয়ারলাইন্সের আরকিউ–৪৪০১ ফ্লাইটটি দিল্লিতে নামতেই দেখা গেছে এমন চমকপ্রদ দৃশ্য। বিমানের পাশে বিধ্বস্ত শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল কিশোরটি। শরীরে ছিল কেবল একটি পাঞ্জাবি, আর চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, তার বাড়ি আফগানিস্তানের কুন্দুজ শহরে। কেবল কৌতূহলের বশেই কাবুল বিমানবন্দরে লুকিয়ে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে প্রবেশ করেছিল। কোনো খাবার, পানি কিংবা নিরাপত্তার চিন্তা না করেই কেবল অভিযানের নেশায় এই জীবনবিপন্ন যাত্রা শুরু করে সে। পরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ফিরতি ফ্লাইটেই কাবুলে পাঠিয়ে দেন। এ সময় বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ছোট লাল রঙের স্পিকার, যা কিশোরটির ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।ঘটনার পর বিমানটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালিয়ে নিরাপদ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্ময় ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই কিশোরের ‘সাহসিকতা’ দেখে অবাক হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আকাশের সেই উচ্চতায় প্রবল ঠান্ডা ও অক্সিজেনের ঘাটতি সত্ত্বেও তার বেঁচে থাকা একপ্রকার অলৌকিক ঘটনা।একইসঙ্গে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, বিমানবন্দরের কড়াকড়ি সত্ত্বেও কিশোরটি কীভাবে এত সহজে ল্যান্ডিং গিয়ারে প্রবেশ করল? তাদের মতে, সামান্য অবহেলাও এ ধরনের ঘটনায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারত।     এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৩, ২০২৫

তিনতলা থেকে পা পিছলে নিচে পড়ে গেলেন যুবক,অতঃপর..

প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততায় ক্লান্ত হয়ে দোকানের এক কর্মচারি যুবক খানিকটা জিরিয়ে নিতে পানির বোতল হাতে উঠে যান তিনতলার বারান্দায়। কিন্তু বেখায়ালে হেলান দিতে গিয়ে হঠাৎ ঘটে যায় এক ভয়ংকর ঘটনা। রেলিং ছাড়া সে বারান্দা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পা পিছলে সোজা নিচে পড়ে যান। আর এমন ভয়ংকর দৃশ্যের সিসি ফুটেজ সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। আর তা দেখে শিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা। জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের যোধপুরে। আর দুর্ঘটনায় পড়া বছর পচিশের সেই যুবকের নাম নাজির যিনি কাজ করতেন এক কাপড়ের দোকানে। ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনতলায় অবস্থিত সেই দোকানের পাশের বারান্দায় রেলিংছাড়া অংশে বেখেয়ালে দাড়াতে গিয়ে আচমকা নিচে পড়ে যান তিনি। আর তার চিৎকারে ছুটে আসেন তার সহকর্মীরা। ততক্ষণে নিচে পড়ে যান তিনি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু কিভাবে? তিনতলা থেকে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কাই বেশি থাকে। কিন্তু নিচেই রাখা ছিল একটি স্কুটার। ভাগ্যের জোরে সেটির উপর গিয়ে পড়েন তিনি। স্কুটারটি যেন তার জন্য অপ্রত্যাশিত এক ‘লাইফসেভার’ হয়ে ওঠে। যদিও প্রাণে বেঁচে গেছেন, তবে তিনতলা থেকে পড়ে যাওয়ার ধাক্কায় তার পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আঘাত গুরুতর হলেও বর্তমানে তিনি আশংকামুক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। ভিডিও দেখে অনেকেই বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, এ যেন অলৌকিক বেচে ফেরা, আবার কেউ কেউ লিখেছেন, “সতর্ক না হলে জীবন যে কত বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে, এই ভিডিও তার প্রমাণ।যোধপুরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এই ঘটনায় ওই যুবক সৌভাগ্যক্রমে বেচে ফিরলেও এটি সকলের জন্য একপ্রকার সতর্কবার্তা। কারণ, সামান্য এমন অসতর্কতা থেকে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।   এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৩, ২০২৫

নামাজের সময় ধসে পড়ল স্কুল, ধ্বংসস্তুপে আটকা শত শত শিক্ষার্থী

এক বোর্ডিং স্কুলের শতশত শিক্ষার্থী আসরের নামাজে দাড়িয়েছে। নামাজ আদায়ের সময় শিক্ষার্থীরা যখন প্রার্থনা কক্ষে, তখনই শতবর্ষী ভবনটির উপরের তলা প্রচণ্ড শব্দে ভেঙে পড়ে। আর মুহূর্তেই রক্ত, ধুলো আর কান্নার ভেতর ডুবে যায় গোটা স্কুল ভবন। এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে আর আহতের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। তাদের অনেকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এমনকি দুর্ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অনেক শিক্ষার্থী কংক্রিটের নিচে আটকা রয়েছেন। সোমবার ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার সিদোয়ারজোতে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ধসের ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অন্তত ৯১ শিক্ষার্থী কংক্রিটের নিচে আটকে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ চলছে দিন-রাত এক করে। প্রায় ৩০০ জন উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের জীবিত উদ্ধারে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, ভবনের দেয়াল ও স্ল্যাব, যা যেকোনো মুহূর্তে আবারও ধসে পড়তে পারে। তাই ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা আশা করছেন, এখনো অন্তত কয়েকজন শিক্ষার্থী জীবিত রয়েছেন। কিন্তু সময় যত বাড়ছে, ততই নিখোঁজদের পরিবারে উদ্বেগ আর হতাশা বাড়ছে। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে মঙ্গলবার রাতের ভূমিকম্প। ৬ মাত্রার কম্পনে কেঁপে ওঠে এলাকা, বাধ্য হয়ে উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। তবে স্কুল ভবন ভেঙে পড়ার ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, স্কুল ভবনটির মূল নকশা ছিল মাত্র দুই তলার জন্য। অথচ অনুমতি ছাড়াই সম্প্রতি এর উপরে আরও দুই তলা নির্মাণ কাজ চলছিল। অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে কংক্রিটের বিশাল অংশ ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভাঙা ইট-পাথরের নিচে এখনো শোনা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ক্ষীণ করুণ আর্তনাদ, আর বাইরে অপেক্ষা করছে শত শত অশ্রুভেজা চোখ। দুই দিন পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের খোঁজ মেলেনি। বাঁচার আশায় পরিজনরা দাঁড়িয়ে আছে স্কুলের ধ্বংসস্তূপের সামনে, কেউ কোরআন তিলাওয়াত করছে, কেউ আবার স্রষ্টার দরবারে চোখের জল ফেলে প্রার্থনা করছে। প্রতিটি সেকেন্ড যেন হয়ে উঠছে নিখোঁজ সন্তানদের জন্য জীবন–মৃত্যুর এক অলিখিত হিসেব।   এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৩, ২০২৫

স্ত্রীকে নিয়ে চলন্ত সিড়িতে পা দিয়েই বিপাকে ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল

জাতিসংঘের ৮০ তম অধিবেশনে নজর কেড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া। কিন্তু সেখানে তাদের ঘিরে হঠাৎ করে ঘটে যায় বেশ অদ্ভুত এক ঘটনা। স্ত্রীকে নিয়ে ট্রাম্প যখন হেটে এসে চলন্ত সিড়িতে ওঠেন ঠিক তখনি থেমে যায় সেটি। আর অগত্যা ট্রাম্পকে চলন্ত সিড়ি দিয়ে হেটে উপরে যেতে হয়েছে। আর এমন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। মঙ্গলবার একটি চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন তিনি, হঠাৎ সেটি থেমে যায়। মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে চাপা আতঙ্ক। পরে এর আসল কাহিনী জানার পর ট্রাম্প নিজেও ঘটনাটি নিয়ে হাস্যরসে মেতে ওঠেন। কেন ট্রাম্প উঠতেই কেন থেমেছিল চলন্ত সিড়ি? জানা গেছে, ঘটনাটি আসলে কোনো নাশকতা নয়, বরং ট্রাম্পের সঙ্গে থাকা এক ভিডিওগ্রাফার পেছনে হাঁটতে হাঁটতে অসাবধানতাবশত সিঁড়ির জরুরি সেফটি বাটনে চাপ দেন। এটি এমন একটি ব্যবস্থা, যা কোনো বস্তু আটকে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসকেলেটর থামিয়ে দেয়। ট্রাম্প নিজেও ঘটনাটি নিয়ে রসিকতা করে বলেন, জাতিসংঘ থেকে আমি দুটো জিনিস পেলাম—একটা খারাপ এসকেলেটর আর একটা খারাপ টেলিপ্রম্পটার! যদিও হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বিষয়টিকে হালকাভাবে নেননি। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করে থাকে, তবে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা উচিত। পরে জাতিসংঘ নিশ্চিত করে, এটি নিছক দুর্ঘটনা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাজ করায় এমনটি হয়েছিল। এর আগে দিনটিতে ট্রাম্প জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মঞ্চে নতুন রেকর্ড গড়েন। যেখানে সাধারণত বক্তাদের জন্য ১৫ মিনিট সময় নির্ধারিত থাকে, সেখানে তিনি টানা ৫৬ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বক্তব্য দেন। এটি কেবল তার ব্যক্তিগত রেকর্ডই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্টের জাতিসংঘে দেওয়া দীর্ঘতম ভাষণ বলে জানা গেছে।এভাবে রেকর্ড বক্তৃতার পাশাপাশি এসকেলেটর বিপত্তির মতো ঘটনাও জাতিসংঘে ট্রাম্পের সফরকে ঘিরে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।     এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৩, ২০২৫

ট্রাম্পকে উচিত শিক্ষা দিতে এবার যে ঘোষণা দিলেন মোদি!

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জন্মদিনে ট্রাম্পের শুভেচ্ছা পেলেও ৫০ শতাংশ শুল্ক থেকে এখনো কোনো ছাড় মেলেনি ভারতের। তাই স্বভাবতই বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি ভারতীয়দের ভিসা ফি বাড়ানোয় বেশ ভেঙে পড়েছেন মোদি। অনেকের ধারণা দ্রুতই বুঝি ফুরিয়ে এসেছে তার ক্ষমতা। কিন্তু হঠাৎ জাতির উদ্দেশে ভাষণের ঘোষণা দেন তিনি। আর তাতে বাড়তে থাকে জল্পনা কল্পনা। পরে সব জল্পনা শেষে জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন মোদি। আর সেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে উচিত শিক্ষা দিতে দেশবাসীকে বিদেশি পণ্য ব্যবহার বন্ধ করে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি ভারতের শত্রু কে তা নিয়েও খোলাসা করেছেন তিনি। রোববার সন্ধ্যায় দেওয়া সেই ভাষণে তার বক্তব্যে ছিল স্পষ্ট বার্তা, ভারতীয়দের উচিত, ভারতেই তৈরি পণ্য অর্থাৎ স্বদেশী পণ্য কেনা। এসময় তিনি আরও বলেন বিশ্বে আমাদের কোনো বড় শত্রু নেই। যদি আমাদের কোনো শত্রু থাকে, তবে তা হলো অন্যান্য দেশের ওপর আমাদের নির্ভরতা। আমাদের সেই নির্ভরতা থেকে বের হতে হবে। যদিও কোনো দেশের নাম নেননি তিনি, তবুও তার ইঙ্গিত যে যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই, তা নিয়ে যেন কোনো সন্দেহ নেই কারও মনে। মোদীর এই ‘স্বদেশি ডাক’ যেন মুহূর্তেই আলোড়ন তোলে ভারতজুড়ে। তার সমর্থকরা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্কিন ব্র্যান্ড বয়কটের প্রচারণা শুরু করেছেন। লক্ষ্যবস্তুতে এসেছে ম্যাকডোনাল্ডস, পেপসি, কোকা-কোলা, অ্যাপলের মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের কাছে যেসব পণ্য ব্যাপক জনপ্রিয়, সেগুলোকে টার্গেট করা হচ্ছে মূলত। ভারতের স্থানীয় শিল্পখাত এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। দেশীয় কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই নিজেদের পণ্যের প্রচারে আরও জোর বাড়িয়েছে। দোকানদারদের উদ্দেশেও মোদীর স্পষ্ট নির্দেশ, দেশীয় পণ্য বিক্রিতে মনোযোগ দিতে হবে। তার দাবি, দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়লে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হবে। ১৪০ কোটি মানুষের বিশাল বাজারের দেশ ভারত বহু বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা পণ্যের অন্যতম প্রধান গন্তব্য। ফলে মোদীর এই আহ্বান নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধাক্কা হতে যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।   এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৩, ২০২৫
footer small logo

যোগাযোগ :

এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ফোনঃ +88-02-55011931

সোশ্যাল মিডিয়া

youtube logotwitter logofacebook logo

আমাদের কথা

আপনার অভিজ্ঞতা

আমাদের লক্ষ্য

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

Design & Developed by:

developed-company-logo