logo
youtube logotwitter logofacebook logo
/সারাদেশ
এবার মাকে বুকে জড়িয়ে কেঁদে ক্ষমা চাইলেন রিপন মিয়া - image

এবার মাকে বুকে জড়িয়ে কেঁদে ক্ষমা চাইলেন রিপন মিয়া

15 অক্টোবর 2025, বিকাল 9:55

সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসাত্মক কন্টেন্ট দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও হঠাৎ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে উঠে আসে তার বিরুদ্ধে গুরুতর সব অভিযোগ। আর তাতেই মঙ্গলবার যেন ক্যারিয়ারে অমঙ্গল ডেকে আনে তার। এবার সেই অভিযোগে পানি ঢেলে মাকে জড়িয়ে ডুকরে কেদে উঠলেন রিপন মিয়া। আর এমন দৃশ্য এবার নাড়া দিয়েছে অনেক নেটিজেনদের।কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া, যার আঞ্চলিক ঢঙের ভিডিও একদিনে ভাইরাল করেছিল তাঁকে, এবার সেই মানুষই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে হঠাৎ আসেন তার মা-বাবার গুরুতর অভিযোগে। সবকিছুর শুরু টেলিভিশনের এক প্রতিবেদন থেকে, যেখানে রিপনের মা অভিযোগ করে বলেছিলেন, আমরা গরিব, তাই এখন ছেলে আমাদের পরিচয় দেয় না। এমনকি প্রতিবেদনগুলোতে আরও বলা হয়েছে, জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছানোর পর থেকে রিপন এখন আর মা–বাবার সঙ্গে থাকেন না; আলাদা পাকা বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন, কিন্তু মা-বাবাকে ভরণপোষণ দেন না।আর মঙ্গলবার দুপুরের সেই ভিডিওতে মুহূর্তেই তোলপাড় হয়ে যায় পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আর তাতে কেউ ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। কেউ লিখেছেন, ‘খ্যাতি মানুষকে মানুষ থাকতে দেয় না। আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘মায়ের কষ্টের কান্না শুনে রিপনের ভিডিও আর  দেখা উচিত হবে না। আর এমন ঘটনায় বিপাকে পড়েন রিপন মিয়া।কিন্তু রাত গড়াতেই পরিস্থিতি ঘুরে গেল একেবারে উল্টো দিকে। ছড়িয়ে পড়ল নতুন এক ভিডিও যেখানে দেখা গেছে, রিপন মিয়া মাকে জড়িয়ে হু হু করে কাঁদছেন। এসময় আঞ্চলিক টানে তাকে বলতে শোনা যায় তোমারে দেহি না আমি? আব্বারে দেহি না আমি? ইডা তুমি কি করলা মা আমার জীবনডা শেষ করলা!” আর ছেলের সেই কান্নায় তাকে জড়িয়ে কেঁদে উঠলেন মা-ও। আর সেই ভিডিওটি প্রকাশের পরেই পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। যাঁরা সমালোচনা করছিলেন, তাঁদের অনেকেই লিখেছেন, ‘মা-ছেলের সম্পর্ক সবচেয়ে পবিত্র। সাময়িক ভুল–বোঝাবুঝি মিটে যাক। রিপনও জানিয়েছেন, আমি আমার পরিবারকে সব সময় দেখেছি, ভবিষ্যতেও দেখব। যারা এই বিষয় নিয়ে ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে।আপসএর আগে, সোমবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রিপন মিয়া দাবি করেন, ‘কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক কোনো অনুমতি ছাড়াই আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ঘরে নারী সদস্য থাকার পরও ভিডিও করে। পরিবারকে হেনস্তা করেছে তারা। /টিএ

অক্টোবর ১৫, ২০২৫

পরকীয়া প্রেমিককে একান্তে ডাকলেন প্রবাসীর স্ত্রী, অতঃপর যা ঘটল

স্বামী প্রবাসে হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ব্যস্ত আর এই সুযোগে নিজের অনৈতিক চাহিদা মেটাতে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলেন এক গৃহবধূ। কিন্তু যখন প্রেমিক বিয়ের দাবি জানায়, তখন পাল্টে যায় গল্পের মোড়! এরপর প্রেমিককে একান্তে সময় কাটাতে নিজের বাড়িতে ডাকেন ওই প্রেমিকা আর তাতে স্ত্রী সন্তানকে তুচ্ছ করে তিনি ছুটে যান তার বাড়ি। দুদিন কেটে গেলেও বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। এরপর সেই প্রেমিকা তার প্রেমিকের স্ত্রীকে কল দিয়ে যা বলেছিল তা যেন কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। কি হয়েছিলো সেদিন? অবশেষে বেরিয়ে এলো এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সেই পরকীয়া প্রেমিকার হাতেই প্রাণ গেছে স্বপন প্রামাণিক নামের সেই ব্যক্তির। আর তার মরদেহ পাওয়া গেছে সেই প্রেমিকা রত্নার খাটের নিচ থেকে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়ায়। নিহত স্বপনের স্বজনরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, তিন চার বছর ধরে প্রবাসী আরিফের স্ত্রী রত্নার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক স্বপনের। পেশায় কাঠমিস্ত্রী স্বপন নিজের সংসারে ভরণপোষণ না দিয়ে প্রেমিকা রত্নাকে ঠিকই টাকা দিতেন। এমনকি কাজে যাওয়ার বাহানায় প্রায়ই একান্তে সময় কাটাতেন রত্নার বাড়িতে। এরপর কয়েকদিন আগে হঠাৎ কাজের কথা বলে বলে দুদিন বাসায় না ফিরলে উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে তার স্ত্রী-সন্তানদের। হঠাৎ অচেনা নাম্বার থেকে পরকীয়া প্রেমিকা জানান যে তার স্বামী বেঁচে নেই। আর তাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে স্বপনের স্ত্রী মায়া খাতুনের। এরপর সাঁথিয়া থানায় এসে স্ত্রী ও স্বজনরা স্বপনের মরদেহ শনাক্ত করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ গিয়ে রত্নার বাড়ির খাটের নিচে স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। নিহতের ভাইয়ের অভিযোগ,রত্না বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে স্বপনকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তবে রত্নার দাবি, স্বপন নাকি নিজেই তার বাসায় গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন! এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা ও তর্ক-বিতর্ক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হলেও, রিপোর্ট পেলে হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে।     এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৮, ২০২৫

প্রবাসী স্বামীকে ফাঁকি দিয়ে হিন্দু যুবকের সাথে প্রেম,অতপর..

ইসলামি শরীয়তের বিরুদ্ধে গিয়ে এক সনাতন ধর্মের যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আর তাতে অন্তসত্ত্বাও হয়ে পড়েন এ নারী। এমন ঘটনার পরিণতিতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন তিনি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। আর এ ঘটনাটির ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌর শহরে। শনিবার দুপুর থেকে শ্রী গুরু শিল্পালয়ের মালিক গোপাল চন্দ্র দেবের ছেলে বাসু দেব দেবের বাড়িতে বসে অনশন শুরু করেছিলেন রানীগাঁও ইউনিয়নের মারজিয়া আক্তার। জানা গেছে, মারজিয়া একজন এক সন্তানের জননী,অন্যদিকে বাসু দেবও এক সন্তানের জনক। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মারজিয়া বলছেন তাকে বিয়ে না করলে তিনি প্রেমিকের বাড়ি ছাড়বেননা; এমনকি মরে গেলেও না। কারণ, তার প্রবাসী স্বামী তাকে বের করে দিয়েছে এবং ওই প্রেমিকের বিয়ের স্বীকৃতি ছাড়া তিনি অনশন ভাংবেননা। পাশাপাশি তার মেয়ের দায়িত্ব নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। মারজিয়া অভিযোগ করে বলেছেন, বাসুদেব প্রথমে স্বর্ণের আংটি তৈরির অজুহাতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে ফেসবুক ও মোবাইলে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। প্রায় তিন বছর ধরে প্রবাসী স্বামীর অগোচরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি বাসু বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষোভে-দুঃখে প্রেমিকের বাড়িতেই গিয়ে অনশন শুরু করেন মারজিয়া। আর এঘটনার পর থেকে বাসুদেব পলাতক রয়েছেন। জানা গেছে,শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত প্রেমিকের বাড়িতেই অবস্থান করেন মারজিয়া। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক হওয়ায় বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করেছে।ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।     এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৮, ২০২৫

সুদখোরের আগুনে গৃহবধূর মৃত্যু, বাড়ি পুড়িয়ে প্রতিশোধ নিলো বিক্ষুব্ধ জনতা

কথায় আছে লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু। ঠিক তেমনই টাকার লোভে এক সাধারণ গৃহবধূর নেয়া ঋণের ওপর চড়া সুদ ধরেছিলেন এক সুদের কারবারী। এমনকি টাকা পরিশোধ করা হলেও বারবার সুদের জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। তবে সেই গৃহবধূ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাতেই ওই সুদখোর যা করে বসলেন তা রীতিমত অমানবিক। বিরোধের জেরে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন ওই সুদখোর। আর তাতে এবার বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে ওই সুদখোরের বাড়ি। ইসলামি শরিয়তে সুদ হারাম হলেও দিন দিন যেন এর ধ্বংসাত্মক প্রসার বেড়েই চলেছে। আর সেই সুদের বলি হয়েছেন কেবল দুজন নারী নন বরং দুটি পরিবার। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর নাম শাহনাজ বেগম। এক বছর আগে মাত্র ৫ হাজার টাকা ধার করেছিলেন নাসিমা নামের এক স্থানীয় সুদের কারবারীর কাছ থেকে। সময়মতো টাকা শোধও করেছিলেন। কিন্তু সুদের লোভ যেন থেমে নেই। আর সেই অমানবিক লোভের জেরেই গত শুক্রবার রাতে শাহনাজকে ঘিরে ফেলে নাসিমা ও তার লোকজন। কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শরীরে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুনে দগ্ধ অবস্থায় শাহনাজকে প্রথমে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে শাহনাজ হার মানলেন। তার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছাতেই যেন উত্তেজনা চরমে ওঠে। ক্ষুব্ধ জনতা মিছিল নিয়ে বের হয়, তারপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নাসিমার বাড়িতে। ঘরবাড়ি ভাঙচুরের পর লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। মুহূর্তেই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে পুরো বাড়ি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নাসিমাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চাঁদপুরের এই ট্র‌্যাজেডি কেবল এক নারীর নির্মম মৃত্যুর গল্প নয়, এ যেন এক সতর্কবার্তা। সুদ কেবল মানুষকে দেনার ফাঁদেই ফেলছে না, কেড়ে নিচ্ছে জীবনও। এই অন্যায় রুখতে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।   এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৩, ২০২৫

স্ত্রীর প্রাক্তন স্বামী কোপালো বর্তমান স্বামীকে!

স্ত্রীর আবদারে অফিস থেকে ফিরে তাকে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু বাসায় ফেরার পথেই ঘটে যায় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। হঠাৎ সেখানে স্ত্রীর প্রাক্তন স্বামী এসে তাদের পথরোধ করে। মুহূর্তেই কোমর থেকে বেরিয়ে আসে ধারালো অস্ত্র, শুরু হয় নির্মম হামলা। আর এই পুরো দৃশ্য ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়, যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিকমাধ্যমে। ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার মহানগরীর মুন্সিপাড়া এলাকায়। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় এক দম্পতির ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন এক ব্যক্তি। পরে জানা গেছে, স্ত্রীর প্রাক্তন স্বামী কুপিয়েছে বর্তমান স্বামীকে। ভুক্তভোগীর নাম ইব্রাহিম হোসেন সালমান। ঘটনার রাতে, স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ইব্রাহিম হোসেন সালমান। কিন্তু বাসায় ফেরার পথেই হঠাৎ হাজির হয়েছিল স্ত্রীর প্রাক্তন স্বামী। মুহূর্তেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে শুরু হয় নির্মম হামলা। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সালমান এবং তার স্ত্রী। ভাইরাল হওয়া সেই সিসি ফুটেজে এ নৃশংস হামলার দৃশ্য দেখা গেছে। ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পর সম্প্রতি নতুন করে বিয়ে করেন তিনি। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক স্বামী রানা ওই নারী ও তার স্বামীর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় গুরুতর আহত হন দুইজন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রানা পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী নারী আরও জানিয়েছেন, তার প্রাক্তন স্বামী রানা ছিলেন নেশাগ্রস্ত ও নারী আসক্ত। এ কারণেই সংসার ভেঙেছিল। কিন্তু বিচ্ছেদের পরও সাবেক স্বামী বারবার হুমকি দিয়ে আসছিল। এমনকি এর আগে একাধিকবার প্রকাশ্যে ভয়ভীতি দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ, তবে এখনো মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।   এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৩, ২০২৫

সুন্দরবনে জেলেকে টেনে নিয়ে গেল কুমির!

জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরেন শত শত জেলে। কখনো আরাকান আর্মির হামলার ভয় কখনোবা বাঘ, কুমিরসহ বিপদে ভরা এলাকায় বাধ্য হয়ে মাছ ধরতে আসেন তারা। আর তাতে অনেকেই প্রাণ হারান। আর এবারও সেখানে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। সুন্দরবনের করমজল খালে কাকড়া ও মাছ ধরতে এসেছিলেন সুব্রত নামের এক যুবক। এরপর হঠাৎ মুখোমুখি হন ভয়ংকর এক কুমিরের। এরপর যা ঘটেছে তাতে রীতিমত গা শিউরে উঠেছে অনেকেরই। মঙ্গলবার সকালে ঢাংমারী স্টেশন থেকে রাজস্ব জমা দিয়ে পাশ সংগ্রহ করে মাছ ধরতে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন সুব্রত। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে করমজল খাল পার হওয়ার সময় হঠাৎ কুমির তাঁকে ধরে টেনে নিয়ে যায়। এসময় সঙ্গে থাকা অন্যান্য জেলেরা চেষ্টা করেও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেননি। নিখোঁজের খবর পেয়ে বন বিভাগ ও অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী নৌকা ও ট্রলার নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকেল ৫টার দিকে খালে সুব্রতের মরদেহ ভেসে উঠেছিল। তবে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিষয় হলো, কুমিরটি মরদেহটি মুখে ধরে নিয়ে অনেকক্ষণ ঘুরছিল এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর আর মরদেহটি আর পাওয়া যায়নি। অবশেষে রাত সাড়ে দশটার দিকে, প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টা শেষে, গজালমারি এলাকায় পানির নিচ থেকে সুব্রতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সুব্রত দীর্ঘদিন সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরে সংসার চালাতেন। এমনকি তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকা সতর্ক হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে সুন্দরবনের ঝুঁকিপূর্ণ খাল ও নদীগুলোকে ঘিরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। স্থানীয়দের সচেতন হওয়া জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তবে বন বিভাগের নিয়মিত সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও, মানুষের জীবন ও জীবিকার কারণে ঝুঁকি এড়ানো সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না।   এমি/এটিএন বাংলা

অক্টোবর ০৩, ২০২৫

দাফনে বাঁধা দিয়ে সুদের টাকা আদায়!

মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান এক ব্যক্তি। স্বাভাবিকভাবেই তার দাফনের প্রস্তুতি চলছিল কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে ঘটে এক অকল্পনীয় ঘটনা। প্রতিবেশি এক বৃদ্ধা দাবি তোলেন সুদের পাওনা টাকা না দিলে মরদেহ দাফন করতে দেয়া হবেনা। এরপর জোর করে মরদেহ আটকে রেখে আদায় করেন সেই সুদের টাকা। এমন অমানবিক ঘটনার ভিডিও দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। আর তাতে বিষয়টি নিয়ে চারিদিকে উঠেছে তীব্র নিন্দার ঝড়। চরম হৃদয়বিদারক ও অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে। ভিডিওতে, ওই বৃদ্ধাকে মরদেহ দাফনে বাধা দিয়ে সুদের টাকা আদায় করতে দেখা যায়। এরপরই তীব্র জনরোষে সটকে পড়েন ওই নারী। জানা গেছে, গ্রামের রাজমিস্ত্রি হারুন গত শনিবার মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে স্ট্রোকে মারা যান। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ গ্রামে আনা হলে শোকসন্তপ্ত পরিবার দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন দাবি করেন, মৃত হারুনের কাছে তিনি সুদের ১৫ হাজার টাকা পান। আর সেই টাকা পরিশোধ না করলে মরদেহ দাফন করতে দেওয়া হবে না।এ ঘটনায় গোটা গ্রামে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শোকাহত পরিবার মরদেহ পাশে রেখে দীর্ঘ সময় তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। অবশেষে স্বজনরা অত্যন্ত কষ্টে টাকা জোগাড় করে মরদেহের খাটিয়ার ওপর রাখেন। টাকা হাতে নিয়েই মর্জিনা দ্রুত সটকে পড়েন।এমন অমানবিক ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মুহূর্তেই সৃষ্টি হয় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড়। অনেকেই একে সমাজের জন্য লজ্জাজনক ও ঘৃণিত ঘটনা আখ্যা দিয়েছেন।     এমি/ এটিএন বাংলা

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫

ফজলুল হক মিয়াজীর উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প

স্বপ্ন দেখা সহজ, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা অনেক কঠিন। মো. ফজলুল হক মিয়াজী সেই কঠিন কাজটাই করেছেন নিজের অধ্যবসায় আর পরিশ্রমের মাধ্যমে। ফরিদপুর জেলার কানাইপুরের এই মানুষটি একসময় দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করলেও আজ পরিচিত হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে চলতে হতো সীমিত আয়ে। সংসারের চিন্তা ছিল নিত্যসঙ্গী। তবুও হাল ছাড়েননি তিনি। ভাবতে শুরু করেন—কীভাবে কিছু আলাদা করা যায়। সেই চিন্তা থেকেই শুরু হয় ভার্মি-কম্পোস্ট সার তৈরির উদ্যোগ। কাঁচামালের জন্য গড়ে তোলেন গরুর খামার। ধীরে ধীরে নিজের ছোট উদ্যোগটিকে বড় করার পথ খুঁজে পান। পথ চলতে পাশে পান ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি-র ভরসার নতুন জানালা প্রকল্পকে। এখানে অংশ নিয়ে তিনি পান কৃষি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের সুযোগ। প্রশিক্ষণ তাকে শিখিয়ে দেয়—উদ্যোক্তা হওয়া শুধু ব্যবসা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত যাত্রা। সঙ্গে পান ১৫ হাজার টাকা অনুদান, উন্নতমানের বীজ ও সার। এখন তিনি প্রতিমাসে প্রায় ১০ টন ভার্মি-কম্পোস্ট সার উৎপাদন করেন। খামারে কাজ করেন পরিবারের সদস্য ছাড়াও আরও সাতজন কর্মচারী। সব খরচ বাদ দিয়েও মাসে আয় করছেন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। নিজের গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন—`আমি বহুবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সফল হতে পারিনি। ইউসিবির প্রশিক্ষণে গিয়ে আমার চোখ খুলে যায়। বুঝতে পারি, আসলে আমার যা আছে তা দিয়েই শুরু করতে পারি। ইচ্ছাশক্তি আর সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে সফল হওয়া সম্ভব। আজ ফজলুল হক মিয়াজী শুধুই একজন উদ্যোক্তা নন; তিনি এলাকার অন্যদের জন্যও প্রেরণা। তার গল্প শেখায়—পরিশ্রম, অধ্যবসায় আর সঠিক সিদ্ধান্তই পারে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে। /টিএ

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

ফারইস্টের প্রধান কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর-লুটপাট, আহত ৩

দেশের শীর্ষ ইসলামী বিমা কোম্পানি ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় কোম্পানির সিকিউরিটি ইনচার্জসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা লুটপাট চালিয়ে বেশ কিছু মূল্যবান ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের ১৮তলায় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হামলার এ ঘটনা ঘটে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানাগেছে, সকাল ১১টার দিকে ৬০-৭০জন বহিরাগত সন্ত্রাসী অফিসে ঢুকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। তাদেরকে নিবৃত করতে এগিয়ে গেলে কোম্পানির ভিপি, লিগ্যাল এন্ড এস্টেট মো. আজগর আলী ও সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ প্রধান কার্যালয়ে কর্মরতদের অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন। এভাবে সন্ত্রাসীরা প্রায় তিন ঘণ্টা ঘরে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়টি অবরুদ্ধ করে রাখে এবং লুটপাট চালায়। ফারইষ্ট কর্তৃপক্ষের অভিযোগ নজরুল-খালেক বোর্ডের সময়কালীন কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ইন্ধনে প্রধান কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে আমরা পুলিশের সহায়তা চাইলে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘এ ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলা যায়না। যতদূর শুনেছি অর্থ আত্মসাৎকারীদের ইন্ধনে বহুদিন ধরে বহিরাগত লোকজন বিভিন্ন রূপে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে ঝামেলা করে আসছে। এটি সেসব ঘটনার ধারাবাহিকতা।’ এ ঘটনায় কোম্পানির পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানান তিনি।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৫

যেভাবে নিজের ঘরেই কুপিয়ে হত্যা করা করা হলো নোমানী হুজুরকে

প্রতিদিনের মতো এশার নামাজ পড়ে নিজের বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ইসলামি আন্দোলনের নেতা মাওলানা আমিনুল ইসলাম হক। স্ত্রী-সন্তানেরা বাসায় না থাকায় একাই বাসায় ছিলেন তিনি। কিন্তু সে রাতই যেন কাল হয়ে দাড়িয়েছে তার জীবনে। হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত দেশিয় অস্ত্রসহ তার ঘরে জোর করে ঢুকে পড়ে। তার পর যা ঘটল তা রীতিমত হৃদয়বিদারক। ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে মাওলানা আমিনুল ইসলাম হক নোমানীকে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চরনোয়াবাদ এলাকায় এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এশার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে অল্প সময়ের মধ্যেই তার চিৎকার শুনতে পান পথচারীরা। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায়, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে আছেন তিনি। দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কেন তাকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে? মাওলানা আমিনুল ইসলাম হক এলাকায় নোমানী হুজুর নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস এবং সদর উপজেলার একটি মসজিদের খতিব। পাশাপাশি তিনি ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। ধর্মীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে সক্রিয় এ নেতাকে নিয়ে এলাকাজুড়ে বেশ সুনাম ছিল। তবে ইসলামি আন্দোলনের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় অনেকের মনেই তাকে নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। তাই শত্রুতাবশত তাকে হত্যা তরা হতে পারে বলে মনে করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই। এদিকে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আলেম সমাজ ও সংগঠনগুলো ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাতেই শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটি এবং ইসলামী ঐক্য আন্দোলন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন,এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ময়নাতদন্ত ও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।   এমি/এটিএন বাংলা

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৫

সাভারে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বাজার রোড শাখা নতুন ভবনে স্থানান্তর

ঢাকার সাভারে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বাজার রোড শাখা আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার (৩১ আগস্ট) ব্যাংক প্রাঙ্গণে  ফিতা কাটা,আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) জনাব শাহ আলম পাটোয়ারী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহ আলম পাটোয়ারী জানান, সারাদেশে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ২৪০টি শাখা, ৫০০টি সাব-সাব ব্রাঞ্চ , সাড়ে ছয় হাজার এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা, ১,৫০০ ফাস্ট ট্র্যাক বুথ এবং বিপুল সংখ্যক এটিএম বুথ রয়েছে। এছাড়া, ৭৭টি মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং এরিয়া অফিস এবং ২ লাখ রকেট এজেন্ট দেশের নানা প্রান্তে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, “আমাদের রয়েছে দেশের অন্যতম শক্তিশালী ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক, যা আমাদেরকে গ্রাহক সেবায় শীর্ষ স্থানে রেখেছে। বর্তমানে ৫ কোটি গ্রাহক আমাদের সেবার সঙ্গে যুক্ত, যাদের সুবিধার্থে আমরা প্রতিবছর নতুন প্রযুক্তিতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছি। এখন গ্রাহকরা ভিসা কার্ডের মাধ্যমে নিরাপদ ও দ্রুত সেবা পাচ্ছেন।” এতে আরো বক্তব্য রাখেন, সাভার বাজার রোড ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওবাইদুর রহমান অভি,সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোফাজ্জল হোসেন,ব্যাংক ভবনের মালিক মুর্শিদা রহমান, ভিপি এন্ড হেড অব ডিএসডি মোহাম্মদ মুনজুরুল কাদির,সাভার রোড শাখা ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) ইবনুল হাসান,ব্র্যাঞ্চ উপ-ব্যবস্থাপক শংকর মজুমদার,ঢাকা ইপিজেট শাখার ম্যানেজার সফিউল আজম ভুইয়া, পল্লীবিদ্রুৎ শাখার ম্যানেজার শফিকুজ্জামান খান, আশুলিয়া শাখার ম্যানেজার কেএম মারুফুল ও জিরাবো শাখার ম্যানেজার মোমতাজ উদ্দিন। এ সময় এজেন্ট ব্যাংককিং সাভার এরিযার অফিসের ইনচার্জ এসসিএম আফাজ উদ্দিন, সাভারের এরিয়া ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন ফাস্ট ট্র্যাক এর ইনচার্জ ও এলাকার বিপুল সংখ্যক গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শেষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। /টিএ

আগস্ট ৩০, ২০২৫

রাজধানীতে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা

রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে একটি ভবনের সামনে দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। তারা হলেন- ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রেদওয়ানুল হক ও দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক এ জেড ভূঁইয়া আনাস। শনিবার (৩০ আগষ্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে খোঁজ নিয়েছে। তবে এখনো কাউকে আটক করার খবর পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী রেদওয়ানুল জানান, তিনি ও আনাস ভাবনটির নিচে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি সেখানে আসেন এবং তাদেরকে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। তারা সেখান থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ওপর সেই ব্যক্তি চড়াও হন। এরপর আরও আট থেকে ১০ জন এসে তাদের ওপর লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালায়। এই ঘটনায় তিনি হাতে, মাথায়, পিঠে আঘাত পেয়েছেন। তবে এখনো হাসপাতালে যেতে পারেননি। ঘটনার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থলে মতিঝিল থানার দুজন সদস্য পৌঁছেছেন। কিন্তু হামলাকারী ১০ থেকে ১২ জন হওয়ায় এখনো কাউকে তারা আটক করতে পারেননি। এ বিষয়ে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে আরো ফোর্স পাঠানো হচ্ছে। ঘটনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

আগস্ট ২৯, ২০২৫
footer small logo

যোগাযোগ :

এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ফোনঃ +88-02-55011931

সোশ্যাল মিডিয়া

youtube logotwitter logofacebook logo

আমাদের কথা

আপনার অভিজ্ঞতা

আমাদের লক্ষ্য

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

Design & Developed by:

developed-company-logo