
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
গেল জুনে ইসরায়েলের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর একের পর এক সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ইরান। সম্প্রতি ইরানের আকাশসীমায় মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের আগমন আন্তর্জাতিক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি রাশিয়ার সরবরাহ করা সম্ভাব্য নতুন চালানের অংশ হতে পারে। যদিও আন্তর্জাতিক কোনো স্বতন্ত্র সূত্র এটি নিশ্চিত করেনি, তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসনিম এই নতুন মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইরান কয়েক বছর আগে থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪৮টি এসইউ-৩৫এস সিরিজের যুদ্ধবিমান সংগ্রহের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিল। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান জটিল পরিস্থিতি এবং রুশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ওই সরবরাহ প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বিলম্বিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে স্বল্পমেয়াদি সংঘাতে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কিছু সীমাবদ্ধতা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সংঘাতের সময় ইরানের বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অস্থায়ীভাবে কার্যকারিতা হারায় বলে বিভিন্ন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। একই সময়ে দেখা যায়, ইরান তার নিজস্ব প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কমব্যাট ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা পরিচালনা করে, যা দেশটির স্পষ্ট উচ্চস্তরের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
তবে এই ঘটনাগুলো ইরানকে তার বিমানবাহিনী এবং আকাশ প্রতিরক্ষা কাঠামো পুনর্বিন্যাস ও প্রযুক্তিগত ঘাটতি মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিয়েছে। যার ফলে এখন তার বন্ধুভাবাপন্ন দেশ বিশেষ করে রাশিয়া এবং চীনের কাছ থেকে খুব দ্রুত শতাধিক যুদ্ধবিমান এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংগ্রহ করতে চায় ইরান।
বিশেষজ্ঞদের মতে মধ্যপ্রাচ্যের জটিল নিরাপত্তা বিন্যাসে ইরান বহু বছর ধরে নিষেধাজ্ঞা ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে থেকেও নিজস্ব প্রতিরক্ষা কাঠামো বা সামরিক সক্ষমতা সফলতার সাথে বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। আর এর পাশাপাশি অতি সাম্প্রতিক যুদ্ধ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশটি আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার দিকে আরও বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেছে।