logo
youtube logotwitter logofacebook logo

জোহরান মামদানি

ট্রাম্পকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইতিহাস গড়ার পথে মামদানি - image

ট্রাম্পকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইতিহাস গড়ার পথে মামদানি

04 নভেম্বর 2025, বিকাল 5:51

‘আমার মেয়র, তোমার মেয়র, মামদানি মামদানি’—এই স্লোগান শুনে প্রথমে মনে হতে পারে এটি বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনি প্রচারণার অংশ। কিন্তু বাস্তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনকে ঘিরে বাঙালিদের দেওয়া স্লোগান। গত রোববার (২ নভেম্বর)  নিউইয়র্কের হিলসাইড অ্যাভিনিউতে মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানির এক নির্বাচনি সভায় বাঙালি সমর্থকরা এই স্লোগান দেন। সেই সভার প্রাণবন্ত মুহূর্তগুলো দেখা যায় মামদানির অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে। সেখানে উচ্ছ্বসিত জনতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, যেখানে বাংলাদেশি, ভারতীয় ও অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় নাগরিকরা অংশ নিয়েছেন।নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ মঙ্গলবার। প্রায় ৮০ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে আগাম ভোটে অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য ছিল। ইতোমধ্যে ৭ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এ নির্বাচনে সর্বোচ্চ আগাম ভোট পড়েছে; শুধু রবিবারই ১ লাখ ৫১ হাজার মানুষ ভোট দিয়েছেন। তরুণ ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল নজরকাড়া।ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মেয়র প্রার্থী হিসেবে জোহরান মামদানি বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। সর্বশেষ চারটি জরিপে তিনি বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। নির্বাচনের একদিন আগে তিনি সমর্থকদের নিয়ে সিটি হলের উদ্দেশে হেঁটে যান, হাতে ছিল সাদা ও নীল ব্যানার—যার ওপর লেখা ছিল, “আমাদের সময় এখন।” এই দৃশ্য তার প্রচারণায় নতুন উদ্দীপনা যোগ করে।মাত্র ৩৪ বছর বয়সে জোহরান মামদানি ইতিহাস গড়েছেন প্রথম মুসলিম প্রার্থী হিসেবে। তিনি তার নির্বাচনি প্রচারণায় আবাসন খাতের সংস্কার ও জলবায়ু নীতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট ধারণায় বিশ্বাসী এই তরুণ অল্প সময়ের মধ্যেই প্রান্তিক প্রার্থী থেকে জাতীয় পর্যায়ের আলোচিত রাজনৈতিক মুখে পরিণত হয়েছেন। যদি তিনি বিজয়ী হন, তবে তিনি হবেন নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে সবচেয়ে কনিষ্ঠ মেয়র।

নভেম্বর ০৪, ২০২৫
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে স্টেট পর্যায়ের প্রথম বড় নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের একচ্ছত্র জয় - image

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে স্টেট পর্যায়ের প্রথম বড় নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের একচ্ছত্র জয়

05 নভেম্বর 2025, বিকাল 12:56

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে স্টেট পর্যায়ের প্রথম বড় নির্বাচনে দেখা গেলো ডেমোক্র্যাটদের একচ্ছত্র জয়। নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া আর নিউজার্সি- তিনটি রাজ্যের ভোটেই রিপাবলিকানদের ভরাডুবি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ফলাফল ট্রাম্প প্রশাসন- বিশেষ করে রিপাবলিকানদের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা।ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বড় ভোটে তিন রাজ্যে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। একদিকে নিউইয়র্কে তরুণ মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি পেয়েছেন ঐতিহাসিক জয়। অন্যদিকে, ভার্জিনিয়ায় গভর্নর ও স্টেট অ্যাসেম্বলির সব আসনেই দেখা গেছে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য। নিউ জার্সিতেও রিপাবলিকানদের হাতছাড়া হয়েছে গভর্নর পদ। মোটকথা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ট্রাম্পের নীতি আর জনপ্রিয়তা দুই-এই যে রিপাবলিকানদের জোয়ারে ভাটা- তা স্পষ্ট।নিউইয়র্ক সিটিতে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি জয় পেয়েছেন ব্যাপক ব্যবধানে। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তিনি হয়েছেন, শহরের ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রগতিশীল নীতি, আবাসন সংকট নিরসন ও অভিবাসীদের পক্ষে অবস্থান- এই ইস্যুগুলোই মামদানিকে নিউইয়র্কবাসীর কাছে জনপ্রিয় করে তোলে। তাইতো ট্রাম্প প্রশাসনের ¯্রােতের বিপরীতে গিয়েও বাজিমাত করেছেন এই মুসলিম যুবক। এই জয়কে নিউইয়র্কের রাজনৈতিক মানচিত্রে নতুন প্রজন্মের সিদ্ধান্তের প্রতিফলন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।এদিকে মামদানির জয়ে স্বাগত জানিয়েছেন পরাজিত প্রার্থীরাও। অন্যদিকে, ভার্জিনিয়ায় প্রথম নারী গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন, ডেমোক্র্যাট অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গার। পাশাপাশি রাজ্যের আইনসভাতেও ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতি জনমনে যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে-- এসব ফল তারই প্রতিফলন।নিউজার্সিতেও রিপাবলিকানদের হারিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মিকি শেরিল জয় পেয়েছেন। স্থানীয় জরিপে দেখা যায়, ট্রাম্পের কঠোর অর্থনীতি ও অভিবাসন নীতি ভোটারদের মাঝে ভয় ছড়াচ্ছে।এই ফল দেশটির মধ্যবর্তী ভোটের জন্য ডেমোক্র্যাটদের মনোবল তৈরি করলেও, রিপাবলিকানদের সামনে নিয়ে এসেছে কঠিন বাস্তবতা। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুর দিকেই এই পরাজয় তাঁর প্রশাসনের প্রতি জনঅসন্তোষের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নভেম্বর ০৫, ২০২৫
আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম মুসলিম মেয়র, কে এই জোহরান মামদানি? - image

আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম মুসলিম মেয়র, কে এই জোহরান মামদানি?

05 নভেম্বর 2025, বিকাল 1:33

কথায় আছে, বিধির লিখন যায় না খন্ডন। মাত্র কয়েক মাস আগেই যাকে ভোট দিলে নিউইয়র্ক শহরের সব সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেবেন এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার হুশিয়ারিকে তুড়িতে উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে প্রভাবশালী শহর নিউইয়র্কে নতুন ইতিহাস রচনা করলেন জোহরান মামদানি। এই জয়ে তিনি একাধারে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম, দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হলেন। মাত্রকয়েক মাস আগেও যার নাম ছিল তুলনামূলক অজানা, সেই মামদানী এখন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরের নেতৃত্বে। মেয়র হওয়ার এ লড়াইয়ে তিনি হারিয়েছেন দুইপ্রবীণ প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থীঅ্যান্ড্রু কুয়োমো এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কার্টিস লিওয়াকে। এই জয়ে মামদানীশুধু প্রথম মুসলিমই নন, বরং গত ১০০ বছরেরমধ্যে নিউইয়র্কের সর্বকনিষ্ঠ মেয়রও হয়েছেন। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে জোহরান মামদানি শুধু নিউইয়র্ক নয়, গোটা আমেরিকার রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।মঙ্গলবার রাতেতার ব্রুকলিন প্যারামাউন্ট থিয়েটারে আয়োজিত এক বিজয় অনুষ্ঠানেভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও, সোমবারই তিনি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের কারণেই আজ ইতিহাস রচিত হলো। এই জয় আমাদের সবার। ৮৪ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার শহরের নেতৃত্ব পাওয়ার মধ্য দিয়ে মামদানি প্রমাণ করেছেন যে প্রগতিশীল রাজনীতি ধর্ম বা জাতিগত সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে।  নিউইয়র্কের ভোটাররা এই নির্বাচনে মামদানিকে শুধু একজন মুসলিম বা অভিবাসী প্রার্থী হিসেবে নয়, বরং বাস্তব জীবনযাত্রার ব্যয়, বাসস্থান ও নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া এক তরুণ নেতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন অনেকেই। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো ছিলেন পুরনো ধ্যানধারণার প্রতিনিধি, আর মামদানি প্রতিনিধিত্ব করছেন তরুণ, সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির এক নতুন ধারার। এমনকি তার বিজয়ে আনন্দে ফেটে পড়েছে গোটা নিউইয়র্ক শহর। উল্লাস করতে করতে অনেক মানুষই জানিয়েছেন তাকে ভোট দেয়ার কথা, তাকে ঘিরে ভরসা এবং আগামীর উন্নয়নের সুযোগের কথা। এমনকি ভোটাররা জানিয়েছেন, ট্রাম্প আমলের বিভাজিত আমেরিকায় মামদানির মতো তরুণ কণ্ঠই আশার প্রতীক। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ঠিক আগে কুয়োমোকে সমর্থন জানালেও তা উল্টো ফল দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।এমনকি ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর মুসলিমরা যেভাবে বৈষম্যের মুখোমুখি হয়েছিল, আজ সেই প্রেক্ষাপটে মামদানির জয় মুসলিমদের গর্বের নতুন সূচনা বলে মনে করেন সেখানকার মুসলিমরা।   এমি

নভেম্বর ০৫, ২০২৫
মেয়র হয়ে ট্রাম্পের উদ্দেশ্য যে বক্তব্য দিলেন জোহরান মামদানি - image

মেয়র হয়ে ট্রাম্পের উদ্দেশ্য যে বক্তব্য দিলেন জোহরান মামদানি

06 নভেম্বর 2025, সকাল 12:47

হুবহু তুলে ধর হয়েছে-ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলছি, আমি জানি আপনি দেখছেন। আপনার জন্য আমার পরামর্শ হলো ভলিউম বাড়িয়ে নিন। আমেরিকার ইতিহাসে নিউইয়র্কের প্রথম মেয়র হওয়ার পর এভাবেই উচ্চস্বরে ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেন জোহরান মামদানি। তিনি বলেন আজ সন্ধ্যায় আমাদের শহরে সূর্য অস্ত গেছে। ইউজিন ডেপস একবার বলেছিলেন মানবতার জন্য এক উজ্জ্বল ভোরের সূচনা দেখতে পাচ্ছি। ধনী ও ক্ষমতাবানেরা নিউইয়র্কের পরিশ্রমী মানুষদের বারবার বলে এসেছে ক্ষমতা তাদের হাতে নয়। বাক্স তুলতে তুলতে যাদের হাতে কড়া পড়ে গেছে ডেলিভারি বাইকের হ্যান্ডেল যাদের তালুকে শক্ত করে ফেলেছে, রান্নাঘরের আগুনে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে যাদের আঙ্গুল, এসব হাত কখনো ক্ষমতার নাগাল পায়নি।কিন্তু গত ১২ মাসে আপনারা সাহস করেছেন এক অসম্ভব স্বপ্ন ছোঁয়ার। আজ রাতে সব বাধা পেরিয়ে আমরা সেই স্বপ্নটাকেই ছুঁয়ে ফেলেছি। ভবিষ্যৎ এখন আমাদের হাতে। বন্ধুরা আমার, আজ রাতে আমরা একজন রাজনৈতিক রাজার বংশকে পরাজিত করেছি। আমি এন্ড্রু কিউমোর ব্যক্তিগত জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই, কিন্তু তার নাম উচ্চারণের শেষ হবে আজ রাতেই। কারণ আমরা এখন এমন রাজনীতির পাতা উল্টে ফেলে দিচ্ছি, যে রাজনীতি কেবল বাছাই করা কিছু মানুষের জন্যই কাজ করে, অথচ ভুলে যায় অধিকাংশের কথা।আজ রাতে আপনারা পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছেন, ভোট দিয়েছেন নতুন ধরনের রাজনীতির জন্য, এমন শহরের জন্য যেখানে সবাই বাঁচতে পারে। আর এমন সরকারের পক্ষে যারা সত্যিই নিজেদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে। আগামী পহেলা জানুয়ারি আমি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হিসেবে শপথ নেব।আমার আব্বা আম্মাকে বলছি, তোমরাই আমাকে আজকের আমি বানিয়েছো। আমি গর্বিত তোমাদের সন্তান হতে পেরে। আমার স্ত্রী রামাকে বলছি, হায়াতি, এই মুহূর্তে এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমি তোমাকেই পাশে চাই, আর কাউকে না। অনেকে ভেবেছিল এই দিনটা কোনদিন আসবে না। অনেকেই ভয় পেত প্রতিটি নির্বাচনের পর সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন আরো কমে যাবে, একই রকম হতাশার চক্রে আমরা আটকে থাকব। এমন অনেকেই আছেন যারা মনে করেন রাজনীতির নিষ্ঠুর আঘাতে আশার প্রদীপ চিরতরে নিভে গেছে। কিন্তু আমরা সেই ভয়ের উচিত জবাব দিয়েছি। আমরা স্পষ্ট কন্ঠে বলেছি আশা এখনো বেঁচে আছে। এটা কোন অলৌকিক ব্যাপার নয়, এটা নিউইয়র্কবাসীর প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত, প্রতিদিনের কাজকর্মে। আক্রমণাত্মক প্রচারণা সহ্য করেও তারা আশার পক্ষ নিয়েছে। আমাদের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ আজ গির্জায়, জিম্নেশিয়ামে, কমিউনিটি সেন্টারে দাঁড়িয়ে নিজেদের নাম লিখিয়েছেন গণতন্ত্রের খাতায়। আমরা ভোট একা দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু পক্ষ বেছে নিয়েছি একসাথে। স্বৈরাচারের বদলে আশা, টাকার দাপট ও ক্ষুদ্র চিন্তার বদলে পরিবর্তনের প্রত্যাশা, হতাশায় ভেঙে পড়ার বদলে টিকে থাকার আশা আমরা জিতেছি। কারণ নিউইয়র্কবাসী বিশ্বাস করেছে যে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। আমরা জিতেছি কারণ আমরা মেনে নিতে রাজি নই রাজনীতি আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া কোন খেলা। এখন আমরা নিজেরা যা করব, সেটাই হবে রাজনীতি। আমার মনে পড়ছে জওহরলাল নেহরুর বিখ্যাত উক্তি: ইতিহাসে খুব কম সময়ই আসে যখন আমরা পুরনো থেকে নতুনে পা রাখি, যখন একটি যুগের অবসান হয় আর জাতির বহুদিনের নীরব আত্মা নতুন কন্ঠ পায়। আজ রাতে আমরাও পুরনোকে পেছনে ফেলে নতুনের পথে পা রেখেছি। যাদের আমরা ভালোবাসি তাদের পাশে দাঁড়ানোই আসল সাহস। আপনি যদি অভিবাষী হন, ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির সদস্য হন, কৃষ্ণাঙ্গ নারী হওয়ায় ট্রাম্প যদি আপনাকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করে থাকে, কিংবা আপনি যদি জিনিসপত্রের দাম কমার আশায় থাকা একজন সিঙ্গেল মাদার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার লড়াই আমাদেরও লড়াই। আমরা এমন এক সিটি হল গড়ে তুলব যা অটলভাবে নিউইয়র্কের ইহুদিদের পাশে দাঁড়াবে, লড়াই করবে ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে। আর শহরের এক মিলিয়নেরও বেশি মুসলমান জানবে শুধুমাত্র নিউইয়র্কের পাঁচটি বিভাগেই নয়, বরং ক্ষমতার অন্দরমহল পর্যন্ত এখানে তারা আপন। ইসলাম বিদ্বেষকে হাতিয়ার বানিয়ে আর কখনোই কেউ নির্বাচনে জিততে পারবে না।  ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রতারিত জাতি দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে তাকে পরাজিত করা যায়। এই শহরই সেটা দেখিয়েছে যেখান থেকে তিনি উঠে এসেছেন। একজন স্বৈরাচারকে ভয় দেখানোর উপায় হলো তার ক্ষমতার ভিত্তিগুলো ধ্বংস করা। এটি শুধুমাত্র ট্রাম্পকে হারানোর পথ নয়, বরং এভাবেই আমরা পরের জনকেও থামাবো। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলছি, আমি জানি আপনি দেখছেন। আপনার জন্য আমার পরামর্শ হলো ভলিউম বাড়িয়ে নিন। আমরা বাড়িওয়ালাদের ভালো করে ধরবো। এই শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্পদের মত লোকেরা ভাড়াটিদের শোষণ করে মজা পেয়ে গেছে। বিলিয়নিয়ারদের কর মুক্তি ও কর সুবিধা দেয়া দুর্নীতির আমরা অবসান ঘটাবো। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পাশে দাঁড়াবো, সংরক্ষণ করব তাদের অধিকার। আমরা জানি, ট্রাম্পও জানেন শ্রমিকের অধিকার অটুট থাকলে তাদের অত্যাচারী বসদের ক্ষমতা কমে যায়। নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাষীদের শহর যে শহর গড়ে উঠেছে অভিবাষীদের হাতে, টিকে আছে অভিবাষীদের চেষ্টায় এবং আজ রাত থেকে সেটা পরিচালিতও হবে একজন অভিবাষীর মাধ্যমে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমার কথা শুনে রাখুন, আমাদের কাউকে ধরতে হলে আপনাকে আগে আমাদের সবাইকে পার হয়ে যেতে হবে। একসঙ্গে বলুন: আমরা নির্ধারণ করব বাসাভাড়া। আমরা বাস চালাবো দ্রুত এবং সেগুলো হবে বিনামূল্যের। আমরা একসঙ্গে নিশ্চিত করব সার্বজনীন চাইল্ড কেয়ার।

নভেম্বর ০৬, ২০২৫
footer small logo

যোগাযোগ :

এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ফোনঃ +88-02-55011931

সোশ্যাল মিডিয়া

youtube logotwitter logofacebook logo

Design & Developed by:

developed-company-logo