এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
সময় তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল। কাঠফাটা রোদে গরমের মধ্যেও মহাসড়কে আপন গতিতে গন্তব্যে ছুটে চলছিল একটি ঝা চকচকে নতুন যাত্রীবাহী বাস। কিন্তু হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলন্ত অবস্থায় পুরো বাসটিতে আগুন ধরে যায় দাউ দাউ করে আর মুহূর্তের মধ্যে সে আনন্দ যাত্রা পরিণত হয় এক মৃত্যুর মিছিলে। তাতে পুড়ে ছাই হলেন অন্তত ২০ জন যাত্রী। আর এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের জয়সালমীর জেলায়।স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে ৫৭ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি জয়সালমীর থেকে যোধপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে কিছুক্ষণ পরেই হাইওয়ের মাঝপথে হঠাৎ বাসের পেছন দিক থেকে ধোঁয়া উঠতে
শুরু করে। চালক দ্রুত রাস্তার পাশে বাস থামান, কিন্তু ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সামনের অংশ পর্যন্ত। আতঙ্কে যাত্রীরা চিৎকার করতে করতে নামার চেষ্টা করেন, কিন্তু অনেকেই আর নামতে পারেননি। স্থানীয়রা ছুটে এসে ভাঙা জানালা দিয়ে কিছু যাত্রীকে টেনে বের করলেও মুহূর্তেই বাসটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আর তাতে আটকে পড়ে চোখের পলকেই যেন জীবন্ত দগ্ধ হয়ে গেল একের পর এক প্রাণ। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রায় আধাঘণ্টা পর। ততক্ষণে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পরে ১৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে। এরপর দ্রুত চিকিৎসার জন্য আটটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের যোধপুরে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, বাসটির বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। তবে অবাক করা বিষয় হলো এই বাসটি মাত্র পাঁচ দিন আগেই কেনা হয়েছিল! এদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা গভীর রাতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্সে শোক জানিয়ে মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ রুপি ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।তবে রাজস্থানের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলেছে, ভারতের সড়ক নিরাপত্তা আর যানবাহনের মান কতটা নিরাপদ? তার উত্তর খুঁজছে পুরো দেশ। /টিএ