এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
এক অন্ধকার গা ছমছমে সুড়ঙ্গ। আর সেখানে এক ব্যক্তিকে আটকে ফেলেন চার-পাঁচজন সাহসী তরুণ। এরপর দেন পিটুনিও। আসলে সেই আটক হওয়া ব্যক্তি ছিলেন এক ছিনতাইকারী। আর সেই অপকর্ম হাতে নাতে ধরেন কয়েকজন তরুণ এরপর পিছু ধাওয়া করেন তার। এরপর ওই ব্যক্তি পালিয়ে আশ্রয় নেয় ফ্লাইওভারের ভেতরের এক অন্ধকার ও সরু সুড়ঙ্গে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি তার। সেখান থেকে তাকে ধরে ফেলেন চার-পাচজন সাহসী তরুণ।আর সেই ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে।জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়। ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত সড়কগুলোর একটি যাত্রাবাড়ী মোড়। আর সেখানে ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু ছিনতাই শেষে তারা যেন ভোজবাজীর
মতোই হাওয়া হয়ে যেত। তাদের খুজে পাওয়া ছিল দুষ্কর। তবে কিছু মানুষ বিষয়টি ধরতে পারে যে তারা কোথায় গিয়ে গা ঢাকা দেয়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি পথচারীর মোবাইল ছিনিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছেন। ভুক্তভোগী সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে এগিয়ে আসেন স্থানীয় কয়েকজন তরুণ। মুহূর্তেই তারা বুঝে যান, যে সেই ছিনতাইকারী আসলে ফ্লাইওভারের নিচের এক অন্ধকার সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছে।সেই মোড়ের ফ্লাইওভারে গোপন সুরঙ্গে আস্তানা গেড়েছিল ভয়ঙ্কর ছিনতাইকারীদের একটি সঙ্গবদ্ধ দল যারা পথচারীদের থেকে ছিনতাই করে ওই আস্তানায় প্রবেশ করতো। আর অন্ধকার সেই সুরঙ্গে প্রাণের ভয়ে কেউ যেতে চাইতো না ফলে তাদেরকে আটক করা অনেকটাই দুঃসাধ্য ছিল। ফ্লাইওভারের ভেতরে থাকা ওই সুরঙ্গ পথটি খুবই সরু ও দীর্ঘ। বাইরের কোন আলো বাতাস সহজে সেখানে প্রবেশ করতে পারে না।তবুও পিছু হটেননি সেই সাহসী তরুণরা। মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বেলে প্রবেশ করেন সুরঙ্গের গভীরে। প্রায় সাত মিনিট হাঁটার পর হঠাৎই দেখা মেলে সেই ছিনতাইকারীর। এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রকৃত মালিককে, আর আটক ছিনতাইকারীকে সেখানে শাস্তি দেন সেই তরুণরা। /টিএ