আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম মুসলিম মেয়র, কে এই জোহরান মামদানি?
05 নভেম্বর 2025, বিকাল 1:33
কথায় আছে, বিধির লিখন যায় না খন্ডন। মাত্র কয়েক মাস আগেই যাকে ভোট দিলে নিউইয়র্ক শহরের সব সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেবেন এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার হুশিয়ারিকে তুড়িতে উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে প্রভাবশালী শহর নিউইয়র্কে নতুন ইতিহাস রচনা করলেন জোহরান মামদানি। এই জয়ে তিনি একাধারে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম, দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হলেন। মাত্রকয়েক মাস আগেও যার নাম ছিল তুলনামূলক অজানা, সেই মামদানী এখন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরের নেতৃত্বে। মেয়র হওয়ার এ লড়াইয়ে তিনি হারিয়েছেন দুইপ্রবীণ প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থীঅ্যান্ড্রু কুয়োমো এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কার্টিস লিওয়াকে। এই জয়ে মামদানীশুধু প্রথম মুসলিমই নন, বরং গত ১০০ বছরেরমধ্যে নিউইয়র্কের সর্বকনিষ্ঠ মেয়রও হয়েছেন। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে জোহরান মামদানি শুধু নিউইয়র্ক নয়, গোটা আমেরিকার রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।মঙ্গলবার রাতেতার ব্রুকলিন প্যারামাউন্ট থিয়েটারে আয়োজিত এক বিজয় অনুষ্ঠানেভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও, সোমবারই তিনি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের কারণেই আজ ইতিহাস রচিত হলো। এই জয় আমাদের সবার। ৮৪ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার শহরের নেতৃত্ব পাওয়ার মধ্য দিয়ে মামদানি প্রমাণ করেছেন যে প্রগতিশীল রাজনীতি ধর্ম বা জাতিগত সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। নিউইয়র্কের ভোটাররা এই নির্বাচনে মামদানিকে শুধু একজন মুসলিম বা অভিবাসী প্রার্থী হিসেবে নয়, বরং বাস্তব জীবনযাত্রার ব্যয়, বাসস্থান ও নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া এক তরুণ নেতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন অনেকেই। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো ছিলেন পুরনো ধ্যানধারণার প্রতিনিধি, আর মামদানি প্রতিনিধিত্ব করছেন তরুণ, সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির এক নতুন ধারার। এমনকি তার বিজয়ে আনন্দে ফেটে পড়েছে গোটা নিউইয়র্ক শহর। উল্লাস করতে করতে অনেক মানুষই জানিয়েছেন তাকে ভোট দেয়ার কথা, তাকে ঘিরে ভরসা এবং আগামীর উন্নয়নের সুযোগের কথা। এমনকি ভোটাররা জানিয়েছেন, ট্রাম্প আমলের বিভাজিত আমেরিকায় মামদানির মতো তরুণ কণ্ঠই আশার প্রতীক। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ঠিক আগে কুয়োমোকে সমর্থন জানালেও তা উল্টো ফল দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।এমনকি ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর মুসলিমরা যেভাবে বৈষম্যের মুখোমুখি হয়েছিল, আজ সেই প্রেক্ষাপটে মামদানির জয় মুসলিমদের গর্বের নতুন সূচনা বলে মনে করেন সেখানকার মুসলিমরা। এমি