logo
youtube logotwitter logofacebook logo

কাইয়ুম

ই-অরেঞ্জের সোহেলের সবশেষ অবস্থান জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট - image

ই-অরেঞ্জের সোহেলের সবশেষ অবস্থান জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

20 মে 2023, বিকাল 6:00

বরখাস্ত পুলিশ কর্মকর্তা ই-অরেঞ্জের সোহেল রানা বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে তাকে ফিরিয়ে আনতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এসব বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। রোববার (২১ মে) বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। এর আগে ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো: আফজাল হোসেন, মো: আরাফাত আলী, মো: তরিকুল আলম, সাকিবুল ইসলাম, রানা খান ও মো: হাবিবুল্লাহ জাহিদ নামের ছয়জন গ্রাহক চলতি বছরের মার্চ মাসে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একইসাথে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।রুলে গ্রাহকদের নিরাপত্তা, সুরক্ষায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাথে সম্পৃক্ত বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা, স্বত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথী আক্তারসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গ্রাহক ঠকানো, অর্থপাচারের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একইসাথে সোহেল রানা, স্বত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও বিথী আক্তারসহ অন্যান্যদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে ক্ষতি অনুপাতে আবেদনকারীসহ অন্যান্য প্রতারিত গ্রাহকদের মাঝে সে টাকা বন্টন বা বিতরণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। পরে ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় গত ২ নভেম্বর হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে বিএফআইইউ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, প্রাথমিক পর্যায়ে এটির মালিকানায় সোনিয়া মেহজাবিন থাকলেও পরবর্তী সময়ে তা পরিবর্তন করে তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা (বরখাস্ত) শেখ সোহেল রানার স্ত্রী নাজনীন নাহারা বিথীর নামে হস্তান্তর করা হয়। সোনিয়া মেহজাবিন, স্বামী মাসুকুর রহমান, ভাই শেখ সোহেল রানা ও চাচা মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ নগদে টাকা উত্তোলন ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর এবং নিজ নামে ক্রয় করার জন্য মোট ১৮.৫৬ কোটি টাকা ই-অরেঞ্জ এর হিসাব হতে স্থানান্তর বা উত্তোলন করেন। তারা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হিসাব থেকে এসব টাকা সরিয়েছেন। গ্রাহকদের অগ্রিম মূল্য পরিশোধিত অর্ডারের কাঙ্ক্ষিত পণ্য সরবরাহ না করে সন্দেহভাজন উল্লিখিত অর্থ তাদের ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর নগদে উত্তোলন ও ব্যক্তিগত স্থায়ী সম্পদ ক্রয় করেছেন মর্মে পরিলক্ষিত হয়েছে, যা প্রতারণার শামিল। পরবর্তীতে শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ এবং ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায় বিষয়ে জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযুক্ত ই–অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত সোহেল রানাকে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে তাকে আটক করে। পরে ৫ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ।

মে ২০, ২০২৩
আজ শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা - image

আজ শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা

01 মার্চ 2024, বিকাল 6:00

অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামছে আজ ২ মার্চ (শনিবার)। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুমোদনক্রমে মেলার সময় বাড়ানো হয় আরও দুই দিন। সে হিসেবে আজ শেষ হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। এবারের বইমেলার জন্য বড় আশীর্বাদ হয়ে এসেছে মেট্রোরেল। যার কারণে অন্য বছরের তুলনায় এবার মেলায় বেড়েছে মানুষের সমাগম। কারণ মেট্রারেলের কল্যাণে রাজধানীর উত্তরাসহ নানান জায়গায় থেকে মেলায় মানুষ এসেছে। সেটা অন্য সময় যানজটের ভয়ের কারণে মানুষ মেলায় আসতো না সাধারণত। যার ফলে, এবার মেলায় বিক্রি বেড়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় কয়েকগুণ। বৈশ্বিক করোনা মহামারি ও যানজট এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণে গত কয়েক বছর বইমেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের যে ভাটা পড়েছিল এবার মেট্রোরেলের কল্যাণে সেটি লাঘব হয়েছে। শুরু থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জমজমাট উপস্থিতিতে সরগরম ছিল বইমেলার প্রতিটি দিন। বইমেলা ২৮ দিনের হলেও প্রতি চার বছর পর লিপ ইয়ারের কারণে হয় ২৯ দিনের। তবে এবার ২৯তম দিনটি বৃহস্পতিবার হওয়ায় প্রকাশকদের দাবি ছিল মেলার সময় বাড়িয়ে শুক্রবার-শনিবারেও যেন নেওয়া হয়। তবে মেলার যে সময় বাড়ানো হয়েছে, সে অনুযায়ী খুব কমই বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশক এবং বিক্রয়কর্মীরা। তারা মনে করছেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড পাঠকদের মনে দাগ কেটেছে। তাই মেলায় ভিড়-বিক্রি কম। শুক্রবার (১ মার্চ) মেলায় ভিড় বিক্রি কম দেখা গেলেও তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এবারের বইমেলা নিয়ে ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক আদিত্য অন্তর বলেন, এবছর যেহেতু বৃহস্পতিবার দিন মেলা শেষ হওয়ার তারিখ ছিল, তাই শুরু থেকেই প্রকাশক ও পাঠকদের প্রত্যাশা ছিল যেন সময় দুই দিন বাড়ানো হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সময় বৃদ্ধি করেছে। এটি আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। এ বছরের বইমেলায় বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবছর বইয়ের বেচাকেনা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ, গত কয়েক বছর ধরেই অর্থাৎ করোনার পর থেকে বইমেলা ওইভাবে জমে উঠেনি। সেই বিবেচনায় এবছর শুরু থেকেই বইমেলা জমজমাট। আর বইয়ের প্রতিও মানুষের আগ্রহ রয়েছে। যার কারণে শুরু থেকেই পাঠক ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এখন কেউ যদি বলে থাকেন যে, এই বছর বইমেলায় বিক্রি কম হয়েছে, তাহলে আমি বলব তাদের বিক্রি করার মতো বইয়ের অভাব রয়েছে। খেয়াল করে দেখবেন, অন্যান্য বছর যেখানে মেলা শুরুর এক সপ্তাহ কিংবা দশ দিন পর বিক্রি শুরু হতো সেখানে এ বছর শুরু থেকেই বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে অন্বেষা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, শুক্রবার অনুযায়ী পাঠক এবং ক্রেতা বেশি হওয়ার কথা ছিল। আমরাও সে রকম প্রত্যাশা করে মেলা দুই দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে কিন্তু বৃহস্পতিবার বেইলি রোডের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকের মনে প্রভাব বিস্তার করেছে। কারণ এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে অনেকেই বাসা থেকে বের হতে চান না। অনেকের আবার মন খারাপ থাকে। সেজন্য হয়তো মেলায় পাঠকের সংখ্যায় একটু প্রভাব পড়েছে। মেলার সময় বৃদ্ধি ও বই বিক্রি নিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন তাম্রলিপি প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি কাউসার হোসেন। তিনি বলেন, বেচাবিক্রি শুক্র-শনিবারের মতো হচ্ছেই না, নরমাল দিনের মতোও হচ্ছে না। অনেকেই হয়তো জানেন না মেলা দুই দিন বেড়েছে। আবার এটাও হতে পারে, যারা বই কেনার তারা ২৯ তারিখের মধ্যেই কিনে ফেলেছেন। ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি হাসেম আলী বলেন, বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে। মালিক পক্ষ যে প্রত্যাশা নিয়ে মেলা দুই দিন বাড়িয়েছে, তার ধারেকাছেও নেই বেচাবিক্রি। অর্ধেকেরও কম হবে বলে মনে হচ্ছে। তবে মেলার ১৫-১৬তম দিন থেকে যদি মেলা বাড়ার ঘোষণা আসত হয়তো প্রতি শুক্র-শনিবারের মতোই আজকে বিক্রি হতো। সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান আজ শনিবার অমর একুশে বইমেলার সমাপনী দিন। মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত। বিকেল পাঁচটায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ভাষণ প্রদান করবেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর সদস্য-সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হবে।

মার্চ ০১, ২০২৪
আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট - image

আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট

12 নভেম্বর 2024, বিকাল 6:00

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুত সরবরাহ সংক্রান্ত সব চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার এম কাইয়ুম জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। পরে তিনি জানান, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে। রিটে বিদ্যুত মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়েছিল, অবিলম্বে অন্যায্য একতরফা চুক্তি পুনর্বিবেচনা অথবা পুরোটাই বাতিল করতে হবে। তিন দিনের মধ্যে চুক্তি পুনর্বিবেচনার কার্যক্রম শুরু না করলে হাইকোর্টে রিট করবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্যও নোটিশে আহ্বান জানানো হয়েছিল। নোটিশের জবাব দিতে পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তিন দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সে নোটিশের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এ রিট আবেদনটি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে ‘তাড়াহুড়া’ করে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। ওই সময় দেশে আমদানি করা কয়লানির্ভর কোনও বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি। এসব চুক্তির একটি ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পর্যালোচনা কমিটির সভায় ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়। এসব তথ্য-উপাত্ত ও নথি কমিটিকে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে ভারতের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র।

নভেম্বর ১২, ২০২৪
সেন্ট মার্টিনে কুকুরের জন্য পাঠানো হলো ৫০০০ ডিম - image

সেন্ট মার্টিনে কুকুরের জন্য পাঠানো হলো ৫০০০ ডিম

25 নভেম্বর 2024, বিকাল 6:00

প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের অভুক্ত কুকুরের জন্য বিভিন্ন ধরনে খাদ্যপণ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সহায়তা কার্যক্রম চালাচ্ছে বেসরকারি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আজ রোববার দুপুরে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাট দিয়ে ঢাকাস্থ সম্মিলিত প্রাণী রক্ষা পরিষদ নামে একটি সংগঠনের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল এসব সহায়তা দেয়। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেওয়‍া আব্দুল কাইয়ুম জানান, কুকুরের জন্য পাঠানো খাবারের তালিকায় রয়েছে ৫ হাজার ডিম, ৩ হাজার কেজি ডগফুড, মুরগির মাংস, চাল, ডাল এবং ২০০ কুকুরের চিকিৎসা সরঞ্জাম। বিকেলে সেন্টমার্টিন পৌঁছে ক্ষুধার্ত কুকুরগুলোকে প্রথম দিনের মত খাবার সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দ্বীপের সব অভুক্ত কুকুরকে খাবার প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি। সেন্টমার্টিনে খাবার না পেয়ে কুকুর মারা যাচ্ছে–এমন সংবাদ পেয়ে তারা খাবার নিয়ে এসেছেন জানিয়ে আবদুল কাইয়ুম বলেন, খাবার সহায়তার পাশাপাশি ২০০ কুকুরের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদিও পাঠানো হয়েছে। ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে দুইজন চিকিৎসক ও একজন ভেটেরিনারি সহকারী রয়েছেন বলে জানান তিনি। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দ্বীপে প্রায় ৪ হাজার কুকুর রয়েছে। কুকুরগুলো খাবারের জন্যে রাতদিন দ্বীপে বিচরণ করছে। অনেক সময় কচ্ছপসহ সামুদ্রিক প্রাণীও খেয়ে ফেলে। এতে দ্বীপের পরিবেশে বিনষ্ট হচ্ছে।’ প্রায় সময় দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এ সময়ে দ্বীপে ভরপুর পর্যটক থাকে। পর্যটকদের উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে কুকুরগুলো জীবন ধারণ করে। কিন্তু সরকার সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্তে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতো কুকুরগুলোও বিপাকে পড়েছে।’ ইতিমধ্যে খাবারের অভাবে কিছু সংখ্যক কুকুর মারা গেছে জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিদিনই দ্বীপের কোথাও না কোথাও অভুক্ত কুকুরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এ পর্যন্ত দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় আনুমানিক শতাধিক কুকুরের মৃত্যু হয়েছে।’ সেন্টমার্টিনের সাবেক ইউপি সদস্য ও পর্যটনব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্তে পুরো দ্বীপবাসী আর্থিকভাবে চরম টানাপোড়েনে পড়েছেন। এক সময় সাগরে মাছ শিকার দ্বীপের মানুষের জীবিকার প্রধান অবলম্বন হলেও এখন ৯০ শতাংশ মানুষ পর্যটন ব্যবসায় জড়িত। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নেজামী বলেন, ‘কুকুর নিয়ে কাজ করে সম্মিলিত একটি সংগঠনের ১১ জন সদস্যের একটি দল উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কুকুরের জন্য খাবার নিয়ে গেছেন সেন্টমার্টিনে। তারা ২০০ কুকুরের চিকিৎসা সরঞ্জামও নিয়ে গেছে। এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।’ ২০২২ সালে কুকুরের সংখ্যা কমাতে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সেন্টমার্টিন থেকে দুই হাজার কুকুর টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের গোলারচরে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, ২০২২ সালের মার্চে সেন্টমার্টিন থেকে ৩৬টি কুকুর খাঁচায় বন্দী করে দেশের মূল ভূখণ্ডের সর্বশেষ অংশ শাহপরীরদ্বীপে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠনের বিরোধিতার মুখে কুকুর স্থানান্তরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

নভেম্বর ২৫, ২০২৪
বেক্সিমকোর ৪২ হাজার কর্মীর চাকরি হারানোর ভয় - image

বেক্সিমকোর ৪২ হাজার কর্মীর চাকরি হারানোর ভয়

22 জানুয়ারি 2025, বিকাল 6:00

বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান ও কারখানাগুলো খুলে না দিলে ৪২ হাজার মানুষ চাকরি হারাবেন বলে দাবি করেছেন সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড বা বেক্সিমকোর কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বেক্সিমকো ফ্যাশন লিমিটেডের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান আব্দুল কাইয়ুম বক্তব্য রাখেন। এ সময় লে-অফ প্রত্যাহার করে বেক্সিমকোর গার্মেন্টস ডিভিশনের সব কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি করেন কর্মীরা। পাশাপাশি রপ্তানি বাণিজ্য শুরু ও বিদেশিদের কার্যাদেশ প্রাপ্তির সুবিধার্থে ব্যাংকিং কার্যক্রম ও ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খোলার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। সেই সঙ্গে কারখানা ও ব্যবসা চলমান রেখে সব বকেয়া বেতন এবং কোম্পানির দায়-দেনা পরিশোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সৈয়দ মো. এনাম উল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের গার্মেন্টস ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৪২ হাজার চাকরিজীবীকে লে-অফের আওতায় জনতা ব্যাংকের ঋণ সুবিধায় জানুয়ারি-২০২৫ পর্যন্ত বেতনাদি প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই বিশাল জনবলকে আর কোনো প্রকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে না। যার প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি-২০২৫ মাস থেকে ১৬টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং এগুলোতে কর্মরত প্রায় ৪২ হাজার মানুষ চাকরি হারাবে।’ সৈয়দ এনাম আরও বলেন, ‘সেই সঙ্গে এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ককে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়িওয়ালা, দোকানদার, অটোরিকশা চালক, স্কুল-মাদ্রাসা-কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাবে, যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন ও বেঁচে থাকার সব মৌলিক চাহিদা জড়িত।’ তিনি বলেন, ‘বেক্সিমকোর মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গ্রুপ বন্ধ হয়ে গেলে ৪২ হাজার কর্মজীবী মানুষ চাকরি হারাবে। তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২ লাখ পরিবারের সদস্য এবং এই শিল্প ও কর্মজীবীদের কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কর্মসংস্থানের আরও প্রায় ৮ লাখ মানুষের রিজিক বন্ধ হয়ে যাবে।’ সৈয়দ এনাম বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তের যদি কোনো পরিবর্তন না হয়, তাহলে এরা সবাই মানবেতর জীবনের দিকে এগিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে প্রায় ৪২ হাজার নতুন বেকার এবং ব্যবসা-বাড়িভাড়া বঞ্চিত লাখো মানুষ নৈরাজ্য আর অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে নতুন সংকট তৈরি করবে।’ সংবাদ সম্মেলন থেকে লে-অফ প্রত্যাহার করে ১৬টি বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘বেক্সিমকো শুধু বাংলাদেশে নয় এশিয়া মহাদেশের একটি বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপ এবং শুধু বেক্সিমকো গার্মেন্টস ডিভিশনই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করতো। আজ সেই গার্মেন্টস ও সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলো বন্ধ করে রাখায়, ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখায় সরকার ও জনগণ সেই বিশাল বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা আমাদের জাতীয় আয় ও রিজার্ভ ঘাটতির অন্যতম কারণ।’ এনাম উল্লাহ বলেন, ‘বেক্সিমকোর গার্মেন্টসের মাসিক প্রায় ৪০-৫০ লাখ পিস পণ্য তৈরির সক্ষমতা, এশিয়ার বৃহত্তম ওয়াশিং প্ল্যান্ট এবং অত্যাধুনিক মেশিনে সজ্জিত প্রিন্টিং, এমব্রয়ডারি ও এক্সেসরিজ তৈরির কারখানা, টেক্সটাইল মিল ও দক্ষ জনবল বায়ারদের প্রধান আকর্ষণ। কম্পোজিট গ্রুপ হওয়ায় শুধু তুলা ও কেমিক্যাল ক্রয় ছাড়া গার্মেন্টস তৈরির অন্য কিছুই বাইরে থেকে ক্রয় বা আমদানি করতে হয় না। এসব সুবিধা বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বর্তমান থাকায় বায়াররা আমাদের কার্যাদেশ দিতে সব সময় তৎপর থাকে। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধকালীন বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বেক্সিমকো গার্মেন্টস ডিভিশন রপ্তানিতে শীর্ষে ছিল। এ রকম একটি লাভজনক, সুবিধাজনক এবং শ্রমঘন প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দিয়ে ১০ লাখ মানুষের মুখের আহার কেড়ে নিয়ে, জাতীয় প্রবৃদ্ধির ব্যাহত করে বর্তমান জননন্দিত সরকার কী সুবিধা লাভ করছেন আমরা জানি না।’ ব্যাংকিং ও ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি সুবিধা প্রদান করার দাবি জানিয়ে বেক্সিমকোর এই কর্মী বলেন, ‘ব্যাংকিং ও এলসি সুবিধা ছাড়া দেশি-বিদেশি কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায় না। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, ৬ মাস যাবৎ বেক্সিমকোর গার্মেন্টস ডিভিশনের সব ব্যাংকিং ও এলসি সুবিধা বন্ধ রাখা হয়েছে। একদিকে কারখানা বন্ধ, উৎপাদন নেই অন্যদিকে দায়-দেনার পরিমাণ প্রচার করে তা পরিশোধের জন্য সব প্রকার চাপ অব্যাহত। ফলে বেক্সিমকো গ্রুপের সব দায়-দেনা পরিশোধের জন্য উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরুর কোনো বিকল্প নেই।’ বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রমিকদের অর্জিত ছুটির ২ বছরের টাকা জমে গেছে এবং অফিসারদের ৪ মাসের বেতনের টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। বর্তমান আর্থিক দুরবস্থার ভেতর এই বকেয়াগুলো পাওয়া গেলেও সন্তানদের স্কুল-কলেজে ভর্তির খরচ মিটিয়ে ফেলা যেতো।’ এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের অ্যাডমিন বিভাগের প্রধান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘বেক্সিমকোর যে পরিমাণ ঋণ রয়েছে, তা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আদায় করা সম্ভব না। এই ঋণ আদায় করতে হলে প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু প্রস্তাবও দিয়েছি। এর মধ্যে একটি প্রস্তাব ছিল ২৩ একর জমি বন্ধক রেখে ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া। এই ঋণ চাওয়া হয় ৪ মাসের জন্য। এই ঋণ দেওয়া হলে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে বকেয়া ঋণও পরিশোধ করতে পারব। সে ক্ষেত্রে বছরে ৪০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব, এ ধরনের একটি প্ল্যানও আমরা দিয়েছি।’ আরেক প্রশ্নের উত্তরে এনাম উল্লাহ বলেন, ‘আমরা মালিক বলতে এখন আমাদের এমডি ওসমান কায়সার চৌধুরীকে বুঝি। এমডি আছেন, রিসিভার আছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এমডি বেক্সিমকোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সব ধরনের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।’

জানুয়ারি ২২, ২০২৫
তিনটি পৃথক মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। - image

তিনটি পৃথক মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

24 ফেব্রুয়ারি 2025, বিকাল 6:00

নারায়ণগঞ্জে দায়ের করা তিনটি মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন এই রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল কাইয়ুম জানান, দুটি থানায় দায়ের করা হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলককে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা তিনটি হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় পুলিশ তাঁকে আদালতে উপস্থাপন করে। শুনানি শেষে প্রতিটি মামলায় চার দিন করে মোট ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি মামলায় সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
ঢাকার যে ৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি - image

ঢাকার যে ৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি

03 নভেম্বর 2025, বিকাল 10:14

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৮ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলটি। প্রার্থী দেওয়া হয়নি ঢাকার ৭টি আসনে। এই ৭টি আসন হলো-ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮ ও ঢাকা-২০। ঢাকার বাকি ১৩টি আসনে যারা প্রার্থী হলেন- এর মধ্যে ঢাকা-১ আসন থেকে আবু আশফাক, ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ তানভীর আহমেদ, ঢাকা-৫ নবীউল্লাহ নবী এবং ঢাকা-৬ আসন থেকে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১১ এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা-১৪ সানজিদা ইসলাম তুলি, ঢাকা-১৫ ইসলাম খান মিল্টন, ঢাকা-১৬ আমিনুল হক এবং ঢাকা-১৯ ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবুকে চূড়ান্ত করেছে। /টি

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
ঢাকা-১১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. এম এ কাইয়ুম - image

ঢাকা-১১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ড. এম এ কাইয়ুম

04 নভেম্বর 2025, বিকাল 7:06

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে ২৩৮টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।এরমধ্যে ঢাকা-১১ আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম এ কাইয়ুমকে।সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটি এবং সাংগঠনিক টিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি আছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।/টি

নভেম্বর ০৪, ২০২৫
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই : জামায়াত আমির - image

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই : জামায়াত আমির

12 নভেম্বর 2025, সকাল 11:49

গণভোটের দাবিতে থাকা জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমাদের দাবি কম, কিন্তু খুব সুস্পষ্ট। জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিতে হবে। জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের উপর গণভোট আয়োজন’সহ ৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে জামায়াতসহ আন্দোলনরত ৮ দলের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।জামায়াতের আমির বলেন, ২০২৬ সালে নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে। যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নেই। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। সঞ্চালনা করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আহমাদ আবদুল কাইয়ুম ও সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ।সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ, জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজাদ্দিদ বিল্লাহ আল মাদানী, খেলাফত মজলিসের আমির আবদুল বাসিত আজাদ ও যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক, মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির সরওয়ার কামাল আজিজি, মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন, সাধারণ সম্পাদক কাজী নিজামুল হক প্রমুখ। 

নভেম্বর ১২, ২০২৫
footer small logo

যোগাযোগ :

এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ফোনঃ +88-02-55011931

সোশ্যাল মিডিয়া

youtube logotwitter logofacebook logo

Design & Developed by:

developed-company-logo