
আবারও ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ, উৎপত্তি স্থল যেখানে
রাত তখন ১২টা ৫৫। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন অনেকেই। কিন্তু আচমকাই দুলে ওঠে সবকিছু্। আর তাতে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসেন অনেকেই। গত ১১ দিন ধরে যেন ভুমিকম্প আতঙ্ক নিয়েই রাত পার করছে গোটা দেশ। কারণ, আবারও গভীররাতে ভূমিকম্পে কেপেছে দেশ। তবে এটি কেবল দেশই নয় বরং কাপিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশও। কিন্তু এটাইকি শেষ? বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, না, এটা কেবল শুরু।জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ১২:৫৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয় যেটি ছিল ৪.৯ মাত্রার। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হওয়া এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তি মিয়ানমারের ফালামে হলেও এর প্রভাবে কেপেছে উত্তরপূর্ব ভারত, চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ।তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এবং এটির উৎপত্তি ঢাকা থেকে ৪৩১ কিলোমিটার দূরে।কক্সবাজারশহর, উখিয়া, চকরিয়ার ও চট্টগ্রামের স্থানীয়বাসিন্দারা জানান, কম্পন খুব বেশি ছিল না এবং স্থায়িত্বছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ড। তাতেই আতঙ্কে অনেকে ঘর থেকে বেরিয়েআসেন। গভীর রাতের এই ঘটনায় এলাকায়বেশ আতঙ্ক তৈরি হয়।এনিয়ে গত ১১ দিনে ৮বার কেপেছে দেশ। কয়েক দফাভূমিকম্প ঢাকা ও আশপাশেই ঘটেছে।নরসিংদীর মাধবদী থেকে এবং পরবর্তী কম্পনগুলো বাইপাইল, নরসিংদী ও ঢাকার বাড্ডাএলাকা থেকে এসেছে। এবার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার হলেও দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে এ কম্পন অনুভূতহয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ কম্পনের মেইন শকের মাত্রা ৭ দশমিক৮ বা তার বেশিহতে পারে। কিন্তু এরপরই থাকবে আফটার শক। আর সেই পরিস্থিতি বেশ চ্যালেঞ্জের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।যদিও ভূমিকম্পএখন শুধুমাত্র ভারত বা মিয়ানমার থেকেআসছে না, বরং বাংলাদেশেই এর উৎপত্তি হচ্ছে।ভূমিকম্পবিদরা বলছেন, নরসিংদীর সাম্প্রতিক ঘটনা ছিল ইন্ট্রাপ্লেট ইভেন্ট অর্থাৎ টেকটোনিক প্লেট সীমান্ত ছাড়াও, দেশের ভেতরকার ফল্ট লাইনেই সৃষ্টি হচ্ছে চাপ। আর এই চাপেরপরিণতি ভয়ংকর হতে পারে। আর ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ এবং জনসচেতনতা তৈরি না হলে, বড়ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।ফাতিমা